কারণ, খেলতে খেলতে হরিপ্রসাদ একটি কাপড় আর তুলোর পুতুল খেয়ে মৃত্যুপথযাত্রী হয়ে পড়েছিল। তবে ঠিক সময়ে তাকে প্রাণ ফিরিয়ে দিল কলকাতার সল্টলেকের এক পশুচিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। পূর্ব ভারতে এই প্রথম এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে কোনও সারমেয়র এই ধরনের চিকিৎসা হল। এই অসাধ্য সাধন করেছেন কলকাতার অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথলোজি ল্যাবের চিকিৎসক ও তাঁর টিম।
advertisement
আরও পড়ুন: যাঁরা লাল রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন, তাঁদের চরিত্র কেমন হয় জানেন? জানুন জ্যোতিষকথা
হরিপ্রসাদ হল এক শিৎজু গোত্রের কুকুর, বয়স বছর পাঁচ। শনিবার রাতে ঘরে ফারের পুতুল নিয়ে নিয়ে খেলছিল। মালিক হঠাৎ লক্ষ্য করেন, পুতুলটির একটা পা উধাও। কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে ওঁরা বুঝতে পারেন, পোষ্য সেটি গিলে ফেলেছে। সময় নষ্ট না করে মালিক ওই রাতেই কুকুরটিকে নিয়ে প্রাণী চিকিৎসক এস কোনারের কাছে যান। সেখানে পোষ্যর ইউএসজি হয়। কিন্তু তাতে স্পষ্ট বোঝা যায়নি, শরীরের ঠিক কোন জায়গায় সেটি রয়েছে। এমতাবস্থায় চিকিৎসক হরিপ্রসাদকে রেফার করেন অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথলজি ল্যাবে। সেখানে এন্ডোস্কোপি করে দেখা যায়, গিলে ফেলা বস্তুটি পোষ্যর পাকস্থলীতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কীভাবে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরে ভর্তি হবেন? জানুন খুঁটিনাটি
আধুনিক সরঞ্জাম এক্সপ্লোরেটরি ল্যাপেরোটমির মাধ্যমে সেই তুলোর পুতুলটি বের করেছেন টিম অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথলজিকাল ল্যাবরেটরি। অভিভাবক শুভময় মুখোপাধ্যায় এখন একেবারেই চিন্তামুক্ত। ল্যাব কর্ণধার প্রতীপ জানান, আধুনিক সরঞ্জামের মাধ্যমে কোনও রকম অস্ত্রোপচার ছাড়াই ‘এন্ডোস্কোপিক গাইডেড ফরেন বডি রিমুভাল ‘-এর মাধ্যমে মাত্র ১৫ মিনিটেই সেটি বের করা হয়েছে।
হরিপ্রসাদ সুস্থ হয়ে উঠেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। আগে এসব ক্ষেত্রে বাঁচার সম্ভাবনা কম থাকত। এখন ১৫ মিনিটের প্রক্রিয়ায় পেট থেকে কাপড়ের পুতুল বার করা সম্ভব হয়েছে। অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথলজিকাল ল্যাবরেটরির সদস্যরা ডাঃ এস মণ্ডলের নেতৃত্বে কাজ করেছেন এবং হরিপ্রসাদকে বাঁচিয়েছেন।
আবীর ঘোষাল