ভারতের বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ ছিল টিকটক ৷ সেই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মেও ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন নুসরত জাহান ৷ বুধবার ইস্কনের ৪৯তম রথযাত্রা উৎসবে উল্টোরথের আরতিতে যোগ দিতে এসেছিলেন নুসরত ৷ সঙ্গে ছিলেন স্বামী নিখিল জৈনও ৷ সেখানেই মোদি সরকারের রাতারাতি টিকটক ব্যান সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করেন সাংসদ অভিনেত্রী ৷ তিনি বলেন, ‘অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মতোই টিকটক আমার কাছে একটি প্লার্টফর্ম ছিল। যাঁর মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে আমি সংযোগ রাখতাম। যদি দেশের স্বার্থে এই অ্যাপ বন্ধ করা হয়, তাহলে তাতে আমার সমর্থন রয়েছে।’ এতেই শেষ নয়, মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় নুসরত বলেন, ‘চিনা অ্যাপ ব্যান আসলে কেন্দ্রের আইওয়াশ এবং একটি অত্যন্ত হঠকারী সিদ্ধান্ত ৷’
advertisement
নেত্রীর মতে, টিকটকের উপর নির্ভর করে তরুণ প্রজন্মের যারা রোজগার করত তাদের রুজি রুটি চলে গেল ৷ বিকল্প পরিকল্পনা ছাড়াই কিভাবে কেন্দ্র এমন সিদ্ধান্ত নিল প্রশ্ন নুসরতের ৷ চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে যাঁরা কাজ হারালেন তাঁদের এখন কী হবে? ভারতে যে চিনা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করেছে সেগুলির কী হবে? তাঁর মতে, রাতারাতি নোটবন্দির সিদ্ধান্তের মতো টিকটক ব্যানেও অসুবিধায় পড়বে মানুষ ৷
এখানেই শেষ নয়, আর একধাপ এগিয়ে সাংসদ নুসরত জাহান প্রশ্ন তুলেছেন, ‘অ্যাপ নিষিদ্ধ হলেই কি চিনা আগ্রাসন কমবে?’ তবে টিকটক ব্যান নিয়ে ভিন্ন মত বন্ধু যাদবপুরের সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর ৷ তাঁর মতে আরও সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে, তাই টিকটক ব্যান নিয়ে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ৷