বারোটি প্রশ্ন সম্বলিত এই রিপোর্টে জানতে চাওয়া হয়েছে, পেগাসাসকাণ্ডে কি পশ্চিমবঙ্গে কারও 'হ্যাক' হয়েছিল? যদি সেই ঘটনা হয়ে থাকে, তাহলে কোন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাতে যুক্ত ছিল? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঠিত তদন্ত কমিশন সেইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বার করে ছ'মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আড়ি পাতার যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্যি হয়ে থাকলে কীভাবে ম্যালওয়ার কাজ করেছে, তা তদন্ত করে দেখবে কমিশন। 'নজরদারির' জন্য ইজরায়েলের এনওসও গ্রুপের পেগাসাস বা অন্য কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে, কোন কারণে 'আড়ি' পাতা হয়েছিল, 'আড়ি' পাতার ফলে প্রাপ্ত তথ্য কোথায় গিয়েছে, কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তাও তদন্ত করা হবে।
advertisement
পাশাপাশি কোনও ব্যক্তি বা কোনও গোষ্ঠীর প্ররোচনা বা উস্কানির মতো বিষয়-সহ কোন পরিস্থিতিতে 'আড়ি' পাতা হয়েছিল, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কী? 'আড়ি' পাতা হয়ে থাকলে আইনি দিকও বিবেচনা করে দেখবে কমিশন। প্রসঙ্গত এই কমিশনে থাকছেন দুজন বিচারপতিও।
যদিও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর সরকারি নজরদারি চলছে, সেই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়, ‘মৌলিক অধিকার হিসেবে বাকস্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা হল ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি। আমরা সর্বদা খোলামেলা কথোপকথনের সংস্কৃতিতে জোর দিয়ে একটি অবগত নাগরিক সমাজের পক্ষে থেকেছি।’ পরে পেগাসাস 'হ্যাক'-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈষ্ণ সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট-সহ অতীতে এই ধরনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে সবপক্ষ। এই অভিযোগের কোনও তথ্যগত ভিত্তি নেই।’