ভারতীয় দন্ডবিধির ৪০৬, ৪২০ ধারায় অভিযুক্ত হয় বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা। তদন্তে নেমে পুলিশ দু'জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় মনিরুল ইসলাম কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন জানালেন। সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে পুলিশ। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ৪ বছর আগে একজন ঋণ নিল আর সেই ঋনের টাকা দু বছর আগে ঘুষ হিসেবে দিল। জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। কিন্তু কবে ঘুষের টাকা জনপ্রতিনিধি ও তার সঙ্গীদের দেওয়া হল তার কোনও উল্লেখ নেই পুলিশের নথিতে। মুখ্য সরকারি আইনজীবী শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, " অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করার পর ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।"
advertisement
প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক মণিরুল ইসলাম ইদানিং গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েছেন। তাই কি এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। মনিরুল ইসলামের আইনজীবী সাবির আহমেদের কথায়, " পুলিশের দাবির সঙ্গে নথির একাধিক খামতি খুঁজে পেয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ৬ সপ্তাহ মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলেও আদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট। ৪সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি।" শুনানি চলাকালীন এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, "সমস্ত অস্থিরতা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্যই।"পদ্ম শিবিরে নাম লেখানো বিধায়ক মনিরুল ইসলামের লাভপুর ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। অভিযুক্ত হাইকোর্ট থেকে স্বস্তি পেয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পাননি এমন বেকারের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ। ঘুষ দিয়ে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি। পুলিশের তদন্তে এমন সত্য উঠে আসবে কি? উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ।
ARNAB HAZRA