নবান্ন সূত্রে খবর, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা, মালদা, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বীরভূম এই পাঁচ জেলায় রোগীদের সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে রেফার রোগের সংখ্যা সব থেকে বেশি। নবান্ন সূত্রে খবর, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ৭.৯১ শতাংশ, মালদা জেলায় ৭.৫৫ শতাংশ,বাঁকুড়া জেলায় ৭.৩৮ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৭.২৪ শতাংশ এবং বীরভূম জেলায় ৬.০১ শতাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৫০ দিনে ৩৫০০ কিলোমিটার! মোদির বিরুদ্ধে ঝড় তুলতে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'
নবান্ন সূত্রে খবর, এই এলাকায় বিশেষভাবে রোগীদের কেন অন্যান্য জায়গায় রেফার করা হচ্ছে তা নিয়ে বিশেষ পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর,ঝাড়গ্রাম, বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা ও পুরুলিয়া এই পাঁচ জেলাতে রোগীদের অন্য জায়গায় রেফার করা সংখ্যা খুবই কম। যা কিছুটা আশা জাগিয়েছে নবান্ন ও স্বাস্থ্য দফতরকে। এই পাঁচ জেলাকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নীতীশ-নীতি আর তেজস্বীর তেজে বিহারে মহাবদল? রাজ্যপালের কাছে সময় চাইলেন দুই 'জোটবদ্ধ' নেতা
প্রসঙ্গত, রেফার রোগ আটকানোর জন্য বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের সুপার ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সম্প্রতি কয়েক দফার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও কয়েকটি জেলায় ক্রমবর্ধমান হারে রেফার রোগের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন নবান্নের শীর্ষ মহল। পাশাপাশি রোগীদের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সংখ্যা তো পাঁচ জেলার পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়িয়েছে নবান্নের। নবান্ন সূত্রে খবর, মালদা, বাঁকুড়া, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা, উত্তর দিনাজপুর ও পশ্চিম বর্ধমান এই ৫ জেলায় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই রোগীদের ছেড়ে দেওয়ার সংখ্যা সব থেকে বেশি।
স্বাস্থ্য দপ্তরে পরিসংখ্যান বলছে মালদা জেলায় ১৩.০৮ শতাংশ,বাঁকুড়া জেলায় ৮.০৪ শতাংশ, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলায় ৫.২৩ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুর জেলায় ৫.০৩ শতাংশ ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৪.৪৪ শতাংশ রোগীদের শুধুমাত্র চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।যা নিয়েও এই পাঁচ জেলাকে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন নবান্ন। তবে এরই পাশাপাশি নদিয়া,বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা, পূর্ব বর্ধমান,পুরুলিয়া, বীরভূম এই পাঁচ জেলায় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে রোগীদের ছাড়ার সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রবণতা আশা জাগিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে।
এরই পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে রোগীদের নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যাও চিন্তা বাড়াচ্ছে নবান্নের। মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, নদীয়া, মালদা এই পাঁচ জেলায় হাসপাতাল থেকে রোগীদের নিখোঁজ হবার সংখ্যা সবথেকে বেশি। যেখানে আবার উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ঝাড়গ্রাম, দার্জিলিং ডায়মন্ড হারবার এর মতো স্বাস্থ্য জেলাগুলির পরিসংখ্যানও আশা জাগিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে। নবান্ন সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি নিয়ে ফের পর্যালোচনার জন্য উচ্চ স্তরের বৈঠক করতে পারেন মুখ্য সচিব শীঘ্রই।