গত রবিবার সকালে সৌদি আরবের রিয়াধে সাফাই কর্মীর কাজ করা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা এক যুবক দমদম বিমানবন্দরে নামেন। সেখানে পৌঁছনোর পরই থার্মাল স্ক্যানিংয়ে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের বেশি থাকায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেন। এর পর তাঁর রক্ত ও থুতুর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় বেলেঘাটা নাইসেডে বা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা এন্ড এন্টেরিক ডিজিসেস-এ।
advertisement
সোমবার সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে৷ যার অর্থ, করোনা আক্রান্ত নন ওই যুবক। যদিও তাঁর সওয়াব বা লালা রসের নমুনা পরীক্ষা করে সোয়াইন ফ্লুর জীবাণু পাওয়া যায়। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে চিকিৎসকদের। এখন সেই রোগেরই চিকিৎসা হয়েছে ওই যুবকের। সোয়াইন ফ্লু তে আক্রান্ত হওয়ায় ওই যুবকের শরীরে থাকা এই ভাইরাস সৌদি আরব থেকেই এসেছে বলে নিঃসংশয় চিকিৎসকরা। আপাতত এই যুবককে আইসোলেশন ওয়ার্ডেই বেশ কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
মঙ্গলবার নতুন করে দু' জন করোনা সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হন। ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা যাদবপুরের বাসিন্দা একজন এবং মালয়েশিয়া থেকে আসা পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা এক যুবকের জ্বর- সর্দি-কাশি থাকায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাঁদের লালা রসের নমুনা বেলেঘাটা নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। বুধবার সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। আগে থেকেই আরও ৪ জন রোগী হাসপাতালে করোনা সন্দেহে ভর্তি ছিলেন৷ তবে তাঁদের মধ্যে ৩ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের অধ্যক্ষ অনিমা হালদার জানিয়েছেন,'আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো কারণ ঘটেনি। আমাদের এখানে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। আমাদের চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীদের সবরকমের সচেতনতা,সতর্কতা গ্রহণ করার বার্তা দেওয়া আছে। এখানে প্রত্যেকে তাঁর কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন৷ চিকিৎসায় কোনও রকম কার্পণ্য হবে না। তবে মানুষ যেন সতর্ক,সচেতন থাকেন।'
AVIJIT CHANDA