আদালতের সওয়াল জবাবে আসলে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করতে চাইল ইডি৷ ইডির আইনজীবী প্রথমেই আদালতে বলেন, ‘ক্যামেরার সামনে পার্থবাবুর হাত দুটো দেখাতে বলবেন?’ বিচারক তারপর বলেন, ‘পার্থ বাবু হাত দুটো দেখাবেন? তালু দেখাবেন? রিভার্স সাইড প্লিজ’… তার পর আদালতে ইডির আইনজীবীদের তরফ থেকে বলা হয়, ‘দেখতে পেলেন হাতে আংটি। হেফাজতে থাকাকালীন কোনও অরনামেন্ট পরতে পারেন না বন্দি। উনি এতটাই পাওয়ার ফুল (প্রভাবশালী) যে উনি অরনামেন্ট পরে আছেন… এতটাই পাওয়ারফুল!’
advertisement
আরও পড়ুন - 'বিজেপিতে ছিলাম-আছি-থাকব', জল্পনা শেষে জানিয়ে দিলেন মুকুল রায়! তৃণমূলে যোগের কারণও 'ফাঁস'
আরও পড়ুন - নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই সারদা, রোজভ্যালি নিয়ে বিরাট নির্দেশ হাই কোর্টের! তোলপাড় বাংলা
এর পরেই ইডিকে প্রশ্ন করেন, তাঁদের হেফাজতে থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে আংটি ছিল কি না৷ ইডি জানায়, না! তার পরেই আদলতের তরফ থেকে প্রশ্ন ওঠে, ‘কী ভাবে সংশোধনাগারে অরনামেন্ট পরে থাকার অনুমতি দিল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। কারা আইন ও জেল কোডে বলা আছে সংশোধনাগারে প্রবেশের সময় অরনামেন্ট খুলে দেওয়া হয়। উনি কতটা প্রভাবশালী তাতেই বোঝা যাচ্ছে… জেল হেফাজতে থাকাকালীন টাকা, গয়না সমস্ত কিছু জেল সুপারের হেফাজতে রাখা হয়ে থাকে। তাহলে উনি কি ভাবে আংটি পরে আছেন?’
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের প্রশ্ন করে আদালত৷ তিনি কী জানতেন না, সংশোধনাগারে প্রবেশের সময় এগুলো খুলে রাখতে হয়৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তিনি জানতেন না৷ তাঁকে কেউ জানাননি৷ যদিও তারপর আদালত জানায়, এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই, বিচলিত হওয়ারও কিছু নেই৷
পাশাপাশি, এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ চেয়েছে আদালত৷ আগামী ২৬ এপ্রিল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সশরীরে হাজিরার পাশাপাশি তাঁর কাছে লিখিত আকারে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, জেল কোড মেনে কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনে তিনি কতটা সচেতন।