পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এই খোলা চিঠি এ দিন থেকেই লিফলেট আকারে বেহালা পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় বিলি শুরু হয়েছে৷ ২০০১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বেহালা পশ্চিমেরই বিধায়ক ছিলেন পার্থ৷ লিফলেট আকারে লেখা সেই খোলা চিঠিতে বিধায়ক হিসেবে তিনি নিজের কেন্দ্রের জন্য কী কী কাজ করেছেন, তার খতিয়ানও তুলে ধরেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
এর পরই চিঠির দ্বিতীয় ভাগে পার্থ অভিযোগ করেছেন, মিথ্যে অপবাদ দিয়েই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি৷ পার্থ লিখেছেন, ‘২০২২ সালের ২২ জুলাই আমি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে কারারুদ্ধ হই৷ রাষ্ট্রীয় সংস্থায় উচ্চপদে চাকরির সুনাম যা সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে অর্জন করেছি এবং আমার পারিবারিক সংস্কৃতি যা আমাকে সংস্কৃতবান মানুষ এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে, আজ মিথ্যে অপবাদে তা ভূলণ্ঠিত৷’
advertisement
পার্থ এই খোলা চিঠিতে আরও লিখেছেন, তিনি বিধায়ক থাকাকালীন তাঁর বিধানসভা এলাকার অনেকেরই চাকরি হয়েছে৷ কিন্তু তা কোনও অর্থের বিনিময়ে হয়নি৷
এর পরই পার্থ লিখেছেন, ‘আজ আমি সোজাসাপ্টা জিজ্ঞেস করছি, চাকরির বিনিময়ে আমি কার কাছ থেকে অর্থ নিয়েছি? আসুন, যথাসাধ্য প্রমাণ নিয়ে কে চাকরির জন্য অর্থ দিয়েছেন আমার হাতে? কারা আমার নাম করে টাকা নিয়েছেন, এমন কেউ যদি থাকে তাদের নাম আমাকে জানান৷ আমি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবই৷ আমার সততার ছবিকে যারা মসীলিপ্ত করার চেষ্টা করেছেন তাদের ছেড়ে দেওয়া সামাজিক অপরাধ৷’
চিঠিতে পার্থ আবেদন জানিয়েছেন, বেহালায় ডায়মন্ড হারবার রোডে তাঁর জনসংযোগ দফতর জনবাক্সে প্রমাণসহ যেন টাকা নেওয়ার অভিযোগ থাকলে তা জমা দেন বেহালা পশ্চিমের বাসিন্দারা৷ পার্থর আর্জি, ‘আমার সুদীর্ঘ কর্মজীবন, পরিষদীয় জীবনে কেউ আমার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি৷ আপনারা আমার উপরে আস্থা রেখে পাঁচ পাঁচবার বিধানসভায় জিতিয়েছেন৷ আপনাদের কাছে আমি দায়বদ্ধ৷ গণদেবতা এর উত্তর খুঁজুন, আমার ছবি মসীলিপ্ত হওয়া থেকে উদ্ধার করুন৷’
চিঠির শেষ দিকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিও আস্থা প্রকাশ করেছেন পার্থ৷ তিনি লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগেও ছিলাম, এখনও আছি৷ তবে উত্তর চাই-ই চাই৷’
চিঠিতে জানানো হয়েছে, ৫২২/ এ /১ ডায়মন্ড হারবার রোডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জনসংযোগ দফতরের জনবাক্সে এই অভিযোগ জানান যাবে৷ ১১ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত অভিযোগ জানানো যাবে৷
