বাড়িটির একটি অংশ অনুষ্ঠান বাড়ি হিসাবে ভাড়া দেওয়া হত। অন্য অংশে শুটিং হত। গত প্রায় আড়াই বছর বাড়িটি বন্ধ ছিল। বাড়িতে আর নিরাপত্তারক্ষী, কেয়ার-টেকার ছিল না। জানা যায়, একাধিকবার বাড়ির ভিতরে চুরি হয়েছে। খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম। একপ্রকার অযত্নেই পড়ে ছিল পার্থর ‘ইচ্ছে’। কিন্তু আচমকাই স্থানীয়রা একটা অন্য ছবি দেখল। স্থানীয়দের দাবি, সপ্তাহখানেক ধরে বাড়িটায় মানুষের আনাগোনা শুরু হয়েছে। নতুন কেয়ার-টেকার, নিরাপত্তারক্ষী বহাল হয়েছে। হচ্ছে বাড়ি মেরামতি, সাফাইয়ের কাজ। নিয়মিত কর্মীরা আসছেন। জোরকদমে চলছে বাড়ির হৃত জৌলুশ ফেরানোর চেষ্টা। নতুন বৈদ্যুতিন সাজ-সরঞ্জাম বসানো হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ‘ইচ্ছে’ বাড়িটা ফের খোলা হচ্ছে? ফের অনুষ্ঠান বাড়ি হিসাবে ভাড়া দেওয়া হবে ‘ইচ্ছে’? স্থানীয়দের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে।
advertisement
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘বান্ধবী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু পার্থের জামিন মামলা এখনও ঝুলে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলায় পার্থের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী জানান, ওএমআর শিট সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেননি পার্থ। তিনি কিছুই জানেন না। তাঁর দাবি, এর আগে যখন ওএমআর সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযুক্তদের নাম-সহ চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই, তাতেও পার্থের নাম ছিল না। এ ছাড়া, পার্থের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট সিবিআই দিয়েছে, তাতেও এ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগের উল্লেখ নেই। এর পরেই যে কোনও শর্তে পার্থের জামিনের আবেদন করেছেন আইনজীবী।
উল্লেখ্য, নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে অভিযুক্তের সংখ্যা ১১ জন। তার মধ্যে ৮ জন ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কেবল পার্থের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, তাঁর নেতৃত্বেই নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। তিনিই ছিলেন ‘মূল মাথা’। তাঁর তৎকালীন ওএসডিও গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। এখন জামিন দেওয়া হলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।