আদালত অবশ্য প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে৷ নতুন বছরেও জেলেই থাকতে হচ্ছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে৷ আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাকি অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
আরও পড়ুন: ‘শেষ জবাব দিতে চলেছি’, জানুয়ারি ৭! বড় সিদ্ধান্তের পথে তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী
advertisement
শারীরিক অবস্থার দোহাই দিয়ে এর আগেও বহুবার জামিন চেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ এ দিনও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী আদালতে আর্জি জানিয়ে বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শরীর খুবই খারাপ, উনি চেয়েছিলেন জেলে যথাযথ চিকিৎসা হোক। কিন্তু ওনার চিকিৎসা হচ্ছে না। এই অবস্থায় অসুস্থ, এমন কি জেল হেফাজতে থাকাকালীন আলাদা করে জেরা করা হয়নি, তদন্তও তেমন কিছু এগোয়নি৷ মেডিক্যাল বোর্ড অনুসারে, ওনার নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা দরকার৷ কিন্তু সেটা হচ্ছে না। কিডনির সমস্যা, হাই ব্লাড সুগার, জয়েন্টে সমস্যা ও একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। এই পরিস্থিতি নেতাজি নগর থানা এলাকার নাকতলায় পৈতৃক বাড়িতে বসে ওনার চিকি়ৎসার ব্যবস্থা করা হোক৷
যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর এই আবেদনের বিরোধিতা করেন সিবিআই-এর আইনজীবী৷ তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই দুর্নীতির মূল মাথা৷ মিডলম্যানদের সঙ্গেও পার্থর যোগাযোগ এবং আর্থিক লেনদেন ছিল বলেও অভিযোগ করেন সিবিআই-এর আইনজীবী৷ তিনি চা়ঞ্চল্যকর দাবি করে আরও বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই নির্দেশ দিয়ে এবং প্রভাব খাটিয়ে অফিসারদের দুর্নীতিতে যুক্ত করেছে। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে মিলে তিনি ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলেও আদালতে দাবি করে সিবিআই৷।