এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতির কোনও মামলায় কোনও অভিযুক্ত রাজসাক্ষী দিতে রাজি হল। ইডির দেওয়া চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই যিনি আমেরিকায় থাকেন, তাঁর কাছে কোটি কোটি টাকা পৌঁছেছে। যে ট্রাস্টে যুক্ত ছিলেন, সেখানে কোটি কোটি টাকা গিয়েছে। তার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ইডি চার্জশিটে কল্যাণময়ের নাম অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছে। দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা কল্যাণময়ের কাছে গিয়েছিল অভিযোগ করেছে ইডি। নিউ ইয়র্কে থাকতেন কল্যাণময়। গত ডিসেম্বরেই তিনি কলকাতায় আসেন এবং বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দেন। সেই সময় আদালত শর্ত দিয়েছিল, নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ভারত ছাড়তে পারবেন না কল্যাণময়। তদন্তে পিংলায় একটি স্কুলের খোঁজ পেয়েছিল ইডি, ওই স্কুলটি ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী’র নামে। পরে জানা যায়, ওই স্কুলের চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এরপর তাঁকে একাধিকবার তলব করা হয়। ২০২২ সালেও ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি।
advertisement