এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''পার্থদার কাছে যে যে দফতরগুলি ছিল, সেগুলি আপাতত আমার কাছে আসছে। হয়ত কিছুই করব না, কিন্তু যেহেতু যতক্ষণ নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন না করছি... তাই পার্থদাকে রেহাই দিয়েছি। এই দফতরগুলো আমার কাছে এসেছে।'' বিরোধীদের তরফে প্রতিদিনই চাপ তৈরি করা হচ্ছিল পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার। ইতিমধ্যে মঙ্গলবার পার্থ তাঁর মন্ত্রীর গাড়ি চাবি-সহ বিধানসভায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। সেই ঘটনার সূত্রেও জল্পনা ছড়িয়েছিল তাঁর মন্ত্রিত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তৃণমূলের মুখপত্রেও পার্থকে আর এখন ‘মহাসচিব’ বা ‘মন্ত্রী’ বলে লেখা হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকেই পার্থকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
সরকার তরফে একদিকে যখন তিনটি দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হল, তখন বিষয়টি নিয়ে কী হতে চলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান? এই নিয়ে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা। ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দলের কী অবস্থান তা এখনও স্পষ্ট করেননি তৃণমূল হাইকম্যান্ড। এই পরিস্থিতিতে আজই দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে ডেকেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল পাঁচটায় বৈঠক হতে চলেছে তৃণমূল ভবনে। এই বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়ে দলের অবস্থান জানাতে পারে তৃণমূল, এমনটাই জল্পনা রাজনৈতিক মহলের।