TRENDING:
কলকাতা: এবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে সরাসরি ফোন করলেন এসএসসি কাণ্ডে অভিযুক্ত, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেই ফোনালাপেই পার্থবাবু কুণাল ঘোষকে বলেন, ”আমি এতটা খারাপ নই’‘। সূত্রের খবর, কুণাল ঘোষের অস্ত্রোপচারের পরে খোঁজ নিতেই ফোন করেন তিনি। সেখানেই ওঠে নানা প্রসঙ্গ।
advertisement
সূত্রের খবর, ফোনে তিনি বারবার বলেন, ‘বিশ্বাস করো, আমি চুরি করিনি। আমাকে সবাই ভুল বুঝলে।’ যদিও ফোনের ব্যাপারে কুণাল ঘোষ বলেন, ”আমার অসুস্থতার ব্যাপারে জানতে চেয়ে ফোন করেছিলেন। একেবারেই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আবেগঘন হয়ে তিনি কিছু কথা বলেছেন।”
প্রসঙ্গত, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর বুধবারই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে জানান, বিধানসভার অধিবেশনে তিনি যোগ দিতে চান। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের বিষয়ে বিধানসভার স্পিকারের কাছে তাই চিঠি পাঠান পার্থ।
কিন্তু বিধানসভাকে এখনও প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠায়নি। তারা রিলিজের ব্যাপারে চিঠি না দিলে অধিবেশনে যোগ দেওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে বলেই বিধানসভা সূত্রে খবর। জেলমুক্তির পর বাড়ি ফিরেই ঘনিষ্ঠবৃত্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি কাজে ফিরতে চান। শোনা গিয়েছিল, বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনেও নাকি যোগ দিতে চাইছেন তিনি। সেখানে সমস্যা একটাই, তিনি কোথায় বসবেন। কারণ, তৃণমূলের টিকিটে জিতলেও দল তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। ফলে নিজের পছন্দের আসনে বসতে পারবেন না তিনি।
বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে স্পিকারের ডানদিকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা। তারপর বৃত্তাকারভাবে বসেন শাসক দলের বিধায়করা। স্পিকারের বামদিকে বসেন বিজেপির বিধায়করা। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যবর্তী আসনে বসেন আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফিরলে তিনি কোন আসনে বসবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
যদিও শাসকদলের তরফে এবিষয়ে মুখ খোলেননি কেউ। কারণ, পার্থকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে দল। তিনি এই মুহূর্তে তৃণমূল পরিবারের অংশ নন। ফলে মনে করা হচ্ছে, নওশাদ যে জায়গায় বসেন, তার পাশেই বেহালা পশ্চিমের পাঁচবারের বিধায়ক পার্থর বসার ব্যবস্থা করা হতে পারে।