Partha Chatterjee: বিদ্যাসাগরের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তুলনা! আদালতে বিস্ফোরক ইডির আইনজীবী! জামিনের আবেদন নাকচ

ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধীতা করেন। ইডি আদালতের কাছে আবেদন জানান, দুটো দিনই খুব বিখ্যাত। প্রথম, ২৬ সেপ্টেম্বর,১৮২০  জন্মদিন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের। বর্ণ পরিচয় হাত ধরে শিক্ষার আলো এনেছেন তিনি। জ্ঞানের জন্য ঈশ্বর চন্দ্রকে সাংস্কৃত কলেজ থেকে নাম দেওয়া হয়েছিল বিদ্যাসাগর। যিনি ১০০ বছর এগিয়ে দিয়েছেন শিক্ষা ব্যবস্থাকে। অন্য দিকে, ৬ অক্টোবর ১৯৫২ 'ফেমাস' পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। যিনি এডুকেশন সিস্টেমকে নষ্ট করেছেন। সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট করেছেন। আর ইনি ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন শিক্ষা ব্যবস্থাকে।"

advertisement

আরও পড়ুন: IMD-র বিরাট সতর্কবার্তা! টানা পাঁচ দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এই শহরগুলিতে! আবহাওয়ার লেটেস্ট আপডেট

ইডির আইনজীবী আরও বলেন, "কুন্তল ঘোষের থেকে ১০ লাখ নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেরায় চঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে। মুখ্যমন্ত্রী বা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বলতে চাই না। পার্থ প্রভাব শালী ব্যক্তি। তিনি কতটা প্রভাবশালী সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। একজন একশো বছর এগিয়ে দিয়েছেন আরেকজন একশো বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জামিনের আবেদন  করেন আদালতে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জীবন কৃষ্ণ শ্রীবাস্তব এদিন জামিনের আবেদন করেন আদালতে। তাঁর আবেদনে বলা হ। "ইডি ধারণাকে কেন্দ্র করে তদন্ত করতে পারে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে কোনও টাকা পাওয়া যায়নি। পার্থকে শুধুমাত্র জামিন দেওয়া হোক, এটা গ্রান্ট হলে ডিসচার্জ নিয়ে কিছু বলব না। তিনি প্রভাবশালী নয়। তাঁর বয়স হয়েছে শারীরিকভাবে অসুস্থতা রয়েছে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর যুক্তিতে পাল্টা ইডির আইনজীবী জবাব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন ও মামলা থেকে অব্যহতির জন্য আবেদন দুটোই ইন্টারলিংক অর্থাৎ একটা আরেকটার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আগে ঠিক করুন কোন আবেদনের শুনানি হবে। বিচারক  এরপর পার্থর আইনজীবীর উদ্দেশ্য করে বলেন,পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন ও ডিসচার্জ জন্য শুনানি হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। এখানে দুটি পিটিশন থাকার কথা।" দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারক শুভেন্দু সাহা বলেন, কেস ডায়েরি ও পারিপার্শিক তথ্য প্রমাণে মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যুক্ত থাকার তথ্য প্রমাণ মিলেছে , প্রাথমিক সত্যত্যা মিলেছে । গত ৬ মাসের তদন্তে অভিযুক্তর ভূমিকা উঠে এসেছে এবং কেস ডায়েরি বয়ান থেকে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভবনা জোরালো হয়েছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না অভিযুক্ত একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি ফলে তদন্ত প্রভাবিত করা ও তথ্য প্রমাণ লোপাট এর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না.পারিপার্শিক এই তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জামিনের স্বপক্ষে নই. ফলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিনের আর্জি খারিজ করা হল।"