শনিবার সিটি সেশন কোর্টে ইডির আদালতের এজলাসে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য, মানিকের পুত্র সৌভিক ভট্টাচর্য্য হাজিরা দেন।সৌভিক ভট্টাচার্য দুটো কোম্পানির মালিক বলে অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার। তাই পাঠানো হয় সমন।
পাশাপাশি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মন্ডল আজ এজলাসে হাজিরা দেন। তিন জনের নাম চার্জসিটে ছিল। তাপস মন্ডলের আইনজীবী আদালতে কাছে আবেদন করেন, তাপস মন্ডলকে যতবার ইডি ডেকেছে, গিয়েছেন। তাপস মন্ডলের থেকে কোনো রিকভারি নেই। যে কোনো শর্তে জামিন দেওয়া হোক।
advertisement
আরও পড়ুন- রাজাবাগানে এ কী কাণ্ড! রক্তে ভাসছে যুবকের শরীর, চোখ কপালে উঠল পুলিশের
অন্যদিকে মানিকের স্ত্রী এবং পুত্রের জামিনের জন্য আবেদন করেন আইনজীবী। পাল্টা ইডির আইনজীবি জামিনের তীব্র বিরোধীতা করেন। ইডি আইনজীবী আদালতকে জানান, মানিকের ছেলে সৌভিক এবং শতরূপা ভট্টাচার্য মানিকের স্ত্রী। দুজনের জামিনের তীব্র বিরোধীতা করা হচ্ছে। কারণ দুজনই দুর্নীতি বিষয়ে জানেন।
মানিকের স্ত্রীর একাউন্ট ছিল যে মারা গিয়েছিল তাঁর সঙ্গে। একাউন্ট অপারেট করতেন তিনি। টাকা গিয়েছে একাউন্টে। মানিকের ছেলেরএকাউন্টয়ে টাকা গিয়েছে।
পাশাপাশি তাপস মন্ডল অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং এচিভার্স এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট। ক্যান্ডিডেটদের থেকে টাকা সংগ্রহ করত তাপস মন্ডল। ফেসিলিটেটর ছিলেন তাপস। ওঁরা পুরোটা জানতেন। তাপস না থাকলে দুর্নীতি হত না। জামিনের আবেদনের বিরোধীতা করে ইডির আইনজীবী। জেল হেফাজতের আবেদন করা হয়।
দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারক তাপস মন্ডল, শতরূপা ভট্টাচার্য, সৌভিক ভট্টাচাৰ্য পরবর্তী শুনানির দিন ৭ ফেব্রুয়ারির নির্দেশ দেন। সেদিন তাঁদের সশরীরে হাজিরা দিতে হবে।
আরও পড়ুন- বিদ্য়াসাগর সেতুতে ওৎ পেতেছিলেন গোয়েন্দারা, জঙ্গি যোগে হাওড়া থেকে ধৃত এমটেক পড়ুয়া সহ ২
মানিক ভট্টাচাৰ্যর আইনজীবি সঞ্জয় দাসগুপ্ত জানান, জামিনের আবেদনের শুনানি শুরু করার আগেই ইডি তরফে জানানো হয় এদিন তাঁরা প্রস্তুত নয়। তাই সময় চেয়েছেন।
মানিক ভট্টাচাৰ্যকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল শুনানি ছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিচারকের কাছে ভার্চুয়ালি জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিক নেই। জেলে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। শরীর ঠিক নেই তাই যদি বিষয়টি বিবেচনা করা হয়।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি জানান, শরীর খুব খারাপ। চেক আপের দরকার। জেলে পর্যাপ্ত ওষুধ চেক-আপের ব্যবস্থা নেই। যে ওয়ার্ডে আছেন সেখানে কিছুই ব্যবস্থা নেই। থাকতে কষ্ট হচ্ছে। যদি বিষয়টি বিবেচনা করে দেখেন।
বিচারক জানান, জেল কর্তৃপক্ষকে ডাইরেকশন দিয়ে দেবেন যাতে পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়। বিচারক পার্থ-অর্পিতার ৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
মানিক ভট্টাচাৰ্যকে ফের সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সব মিলিয়ে বলা যায়, ইডি আদালতে মানিকের স্ত্রী, পুত্র ও তাপস মন্ডলের হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।