পুলিশ জানতে পেরেছে, নিচের মেন ফটকের চাবি তপন বাবু ও তার স্ত্রীর কাছে থাকতো। গতকাল তপন মণ্ডল কমন চাবি নিয়ে যাননি। সেটা ফ্ল্যাটেই পাওয়া গিয়েছে। তিনি পুলিশের সামনে ব্যাখ্যা দিতে ভুলে গিয়েছিলেন। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, কেন সোমবার কমন চাবি নিলেন না তপনবাবু! তদন্তকারীরা আপাতত একটা ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত, পরিচিত কেউ এই ঘটনায় জড়িত। কারণ অপরিচিত কেউ এলে পরিবারের লোকজন বাইরে থেকেই কথা বলতেন। প্রতিবেশীদের বয়ানেও তেমনটাই জানা যাচ্ছে। ডুপ্লিকেট চাবি ব্যবহার করেছে আততায়ী। অনুমান পুলিশের। কারণ জোর করে ঘরে ঢোকার কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিশ। ঘরের চারপাশে লুঠপাটের চিহ্ন রয়েছে। তবে সেটা পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
advertisement
১৩ বছরের ছেলে তমোজিত্ স্কুল ড্রেস পরা অবস্থায় ছিল। অর্থাত্, অনলাইন ক্লাস চলাকালীন বা তার পরেই খুন করা হয় তাকে। মায়ের ফোন নিয়েই অনলাইন ক্লাস করত তমোজিত্। সেই ফোন বেপাত্তা। আততায়ী কেন সেই ফোন নিয়ে গেল, তাও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তা হলে কি সেই ফোনেই লুকিয়ে রয়েছে কোনও তথ্য! দেহ দেখে পুলিশের অনুমান সোমবার দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে খুন হয়ে থাকতে পারেন মা ও ছেলে। তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন, গলার নলি কাটা হল কেউ চিৎকার শুনতে পেলেন না! তাহলে কি পরিকল্পনা করেই খুনের আগে মা ও ছেলেকে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়েছিল? সব মিলিয়ে এখনও বেশ কিছু মিসিং লিঙ্ক রয়েছে এই ঘটনায়। সেগুলি খুঁজে পেতে মরিয়া চেষ্টা করছে পুলিশ।
-প্রতিবেদক অমিত সরকার