সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ভবিষ্যৎ স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা করতে কালীঘাটে বিশেষ বৈঠক ডেকেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৈঠকে, দলের বহু নেতাকেই মৃদু বকাঝকা করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলনেত্রীকে। তুলেছেন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির হারের প্রসঙ্গও। তবে জোট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, এদিনের আলোচনায় অবধারিত ভাবে এসে গিয়েছে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের কথা।
advertisement
বৈঠকে মমতা বলেছেন, "মূল লক্ষ্য চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। এই লোকসভার লড়াইয়ে আঞ্চলিক দলগুলোর উপরে বিশেষ আস্থা রাখছে তৃণমূল।" আলোচনায় উঠে এসেছে কংগ্রেসের প্রসঙ্গও। গত লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তৃতীয় ফ্রন্টের অন্যতম প্রধান মুখ হয়ে ওঠায় কেন্দ্রীয় রাজনীতির ময়দানে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল কংগ্রেসের। এদিনের বৈঠকে সেই কংগ্রেস প্রসঙ্গে মমতা বলেন, "বিজেপি-কে হঠাতে সবাইকে স্বাগত। কিন্তু দিল্লিতে বিজেপি-র সঙ্গে লড়বে আর এখানে বিজেপি বিরোধী শক্তির ক্ষতি করবে তা হয় না।"
তবে সূত্রের খবর, সবশেষে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, "জাতীয় রাজনীতির কথা আপনাদের ভাবতে হবে না। আপনারা সংগঠনে মন দিন। অনেকেই বাড়িতে বসে থাকছেন। এটা মনে রাখবেন আমরা একলা চলো নীতিতেই লড়াই করব।"
আরও পড়ুন: গরুপাচার কাণ্ডে দিল্লিতে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডলের রাঁধুনি! তলব আরও ১২ জনকে
তবে কি কংগ্রেস নিয়ে কিছুটা হলেও সুর নরং মমতার? প্রসঙ্গত, দেশের অবিজেপি শক্তির বৈঠক বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এড়িয়ে যেতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকে। এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও বলতে শোনা যায়, "কংগ্রেস বিরোধীদের বিগ বস, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল বিভিন্ন সময় ধর্নায় বসেছে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে। বিজেপি চায় রাহুল গান্ধিই বিরোধী মুখ হয়ে উঠুন, তাহলে বিজেপির ভোটে লড়তে সুবিধা হবে। যে রাজ্যে কংগ্রেস শক্তিশালী, সেখানে কংগ্রেস একা লড়ুক। এখনই নেতা নির্ধারণ কেন? তবে আমরা এখনই তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের কথা ভাবছি না।"