TRENDING:

উন্নাও নিয়ে গোটা দেশ যখন সরব বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায়, অন্য ছবি এ রাজ্যে

Last Updated:

হায়দরাবাদ, উন্নাও নিয়ে গোটা দেশ যখন সরব বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ARNAB HAZRA
advertisement

#কলকাতা: হায়দরাবাদ, উন্নাও নিয়ে গোটা দেশ যখন সরব বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায়। তখন একটু অন্য ছবি দেখা গেল আমাদের রাজ্যে। পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কাদের খান ও অভিযুক্ত আজহার আলী দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। ডিসেম্বর ২০১৫ প্রথম পর্যায়ের বিচার সম্পন্ন হয়। দোষীদের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় নগর দায়রা আদালত। এরপর পলাতক দুজন পুলিশের কব্জায় আসে।

advertisement

শুরু হয় পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের দ্বিতীয় পর্যায়ের বিচার। ২০১৬ থেকে বিচারপ্রক্রিয়া চললেও, বিচারের গতিতে ক্ষুব্ধ হয় খোদ অভিযুক্ত! হাইকোর্টে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি চেয়ে মামলা ঠোকে অভিযুক্ত আজাহার আলী।

অভিযুক্ত আলি খান ওরফে আজাহার আলির যুক্তি ২০১৬ সালে গ্রেফতার হলেও এখন পর্যন্ত তার মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না এবং দীর্ঘদিন ধরে সে জেলবন্দি। এর আগে কলকাতা হাই কোর্ট আজহারের মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে ২০ মার্চ একটি নির্দেশ জারি করে। সেখানে হাইকোর্ট জানায়, যদি সম্ভব হয় ৩ মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতের বিচারপর্ব শেষ করতে।

advertisement

৩ মাস কেটে গেলেও এখনো বিচার শেষ না হওয়ায় আবারও আদালতে আসেন আজহার। তার আদালতের কাছে আবেদন আগামী ২২ ডিসেম্বর ট্রায়াল কোর্টের বিচারক অবসর নেবেন। ফলে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের দ্বিতীয় পর্যায়ের মামলা বিলম্বিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা।

সেই মামলাতে সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান,"নিয়মিত শুনানির ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত বড় কোনো অনিয়ম দেখা যায়নি। " এরপরই বিচারে বিলম্বের অভিযোগে করা অভিযুক্ত আজহার আলীর মামলায় কোনো হস্তক্ষেপ না করেই এদিন ফিরিয়ে দেয় হাইকোর্ট। কোনওরকম নির্দেশ দান ছাড়াই মামলার নিষ্পত্তি করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। নগর দায়রায় বিলম্বিত বিচারের অভিযোগ ধোপে টিকলো না কলকাতা হাইকোর্টে।

advertisement

আইনজীবী সূত্রে খবর, পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের রায় এক বেনিফিট অফ্ ডাউট-এর উপর দাঁড়িয়ে। তাঁরা বলছেন, সময়কাল ২০১৪-১৫, নগর দায়রা আদালতের বাইরে ছোট্ট চাতালে একটি চার চাকার গাড়ি সরেজমিনে পরীক্ষা করেন খোদ বিচারক। ওই ছোট গাড়িতে নির্যাতিতা ছাড়াও পাঁচ অভিযুক্তের উপস্থিতি এবং নির্যাতিতার মুখে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে গণধর্ষণ। এই ঘটনা বেনিফিট অফ্ ডাউট। ওই আইনজীবী মহলের যুক্তি, আইনের চোখে এটি একটি দুর্বল জায়গা। তারই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন দোষী সাব্যস্ত এবং অভিযুক্তরা। তাই কলকাতা পুলিশ যেমন দোষীদের শাস্তি বাড়ানোর আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছে। একইসঙ্গে সাজা মুকুবের আবেদন নিয়ে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে দোষীদের তরফে। দ্বিতীয় পর্যায়ের বিচারে অভিযুক্তরাও তার ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে আইনি পথে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

যদিও হাইকোর্ট বিচারে বিলম্বের অভিযোগ নস্যাৎ করে দেওয়ায় এক্ষেত্রে কিছুটা সময় ও সুযোগ পাবে কলকাতা পুলিশ। যে সময় হয়তো বদলে দিতে পারে পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের রায়ের বিচারপথ। প্রসঙ্গত ২০১৫ সালে অসুখে মারা যায় পাক স্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডের নির্যাতিতা।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
উন্নাও নিয়ে গোটা দেশ যখন সরব বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায়, অন্য ছবি এ রাজ্যে