ইতিমধ্যে রবিবার শহরের মধ্যস্থলে ওই অভিজাত হোটেলে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। হোটেলের যে ঘরগুলি বুক করা হয়েছিল এবং যে করিডোরে পার্টি চলছিল, তা পরিদর্শন করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি বিয়ারের বোতল, কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতল পেয়েছেন তাঁরা। এমন দুতিনটি গ্লাস পাওয়া গিয়েছে তাতে অবশিষ্ট পানীয় ছিল। যা থেকে ইতিমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই পানীয়তে কি ইয়াবা ট্যাবলেট জাতীয় মাদক ব্যবহার হয়েছে, এই সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছেন না ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। তা জানতেই পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে পানীয়র অবশিষ্ট অংশ ও উদ্ধার হওয়া বিয়ারের বোতলও।
advertisement
প্রসঙ্গত ২০১৮ এর অক্টোবর মাসের পর থেকে শহরের বেশ কয়েকটি নৈশ পার্টিতে ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবহারের তথ্য রয়েছে পুলিসের কাছে। মূলত কলকাতার বেশ কয়েকটি নাইট ক্লাবে পানীয়ের সাথে খুব সহজেই এই ইয়াবা ট্যাবলেট সেবনের ঘটনার তদন্তও করেছে লালবাজার। আর দেখা গিয়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে এই মাদক ব্যবহারকারী যুব সম্প্রদায়। যাদের অধিকাংশই কলেজ পড়ুয়া।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করার পদ্ধতি খুব সহজ। পানীয়র সাথে মিশিয়ে সেবন করা যায়। আবার কখনও কখনও ক্যান্ডি হিসেবেও এই মাদক সেবন করা যায়। অতীতে যে কয়েকটি এই ধরনের কেস পুলিস বা নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর সামনে এসেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈশ পার্টিতে পানীয় মধ্যে ব্যবহার হয়েছে এই ধরনের মাদক। গত দুতিন বছরে এই জাতীয় মাদক পাচারের বেশ কয়েকটি চক্র ধরা পড়েছে কলকাতায়। তাতে দেখা গিয়েছে অধিকাংশই হয় কলেজে পড়ছেন বা সদ্য কলেজের পাঠ শেষ করেছেন। এই বিষয়টি থেকেই গোয়েন্দাদের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে শনিবারের পার্টিতে ইয়াবা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। কারণ এই পার্টিতেও যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা যুব সম্প্রদায়। যদিও বিষয়টি নিশ্চিত হতে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
তবে লালবাজার সূত্রে খবর, যদি ইয়াবা জাতীয় মাদকের ব্যবহার সামনে আসে, তাহলে মাদক আইনে মামলা করা হবে। একই সঙ্গে পার্টিতে মাদক কোথা থেকে এল, তা নিয়েও তদন্ত এগোবে।অন্যদিকে ওই অভিজাত হোটেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, করোনা বিধি লঙ্ঘিত হয়নি। করোনা বিধি মেনেই হোটেলে রুম বুকিং দেওয়া হয়ে থাকে। যদিও পুলিসের দাবি, করোনা বিধি শিকেয় তুলে পার্টি চলছিল হোটেলের কোরিডোরে। তাই ওই হোটেলের আধিকারিক ও কর্মীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেই পুলিস সূত্রে খবর।
অমিত সরকারের প্রতিবেদন