গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির হয়ে প্রচারে গিয়ে বাঙালিদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন পরেশ রাওয়াল। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন বাঙালি রাজনীতিকেরা। তখনই পরেশের মন্তব্য নিয়ে তালতলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে এদিন জানিয়ে দিল আদালত।
advertisement
ওই মামলার প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিজেপি ঘনিষ্ঠ এই বলিউড অভিনেতাকে। এ নিয়ে পরেশ রাওয়ালকে একটি নোটিসও পাঠায় তালতলা থানা।
সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পরেশ রাওয়াল। তাঁর আইনজীবী ধিরাজ ত্রিবেদী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল কারও ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য ওই মন্তব্য করেননি। পরবর্তীকালে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন ট্যুইটের মাধ্যমে।
এর পরে বিচারপতি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মহম্মদ সেলিমের আইনজীবী শামিম আহমেদের উদ্দেশ্যে বলেন, "উনি তো ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।" উত্তরে শামিম আহমেদ আদালতের কাছ থেকে সময় প্রার্থনা করেন। আগামী সোমবার এ বিষয়ে মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য আদালতে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাবা-ছেলের কীর্তি! নিয়োগ-নথি নকল করে চাকরির তদন্তে CID-তেই আস্থা হাইকোর্টের
এরপরেই আদালতের নির্দেশ, পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না। আদালত এই মুহূর্তে ওই নোটিসের উপরে কোনও স্থগিতাদেশও জারি করছে না।
গত ডিসেম্বরে গুজরাতের বলসারে বিজেপির হয়ে প্রচার সারতে গিয়েছিলেন পরেশ। সেখানে তিনি বলেছিলেন, "গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে। এটা ঠিক। কিন্তু সেই দাম কখনও না কখনও কমবে। কিন্তু, কী হবে যখন রোহিঙ্গারা, বাংলাদেশিরা আপনারই বাড়ির চারপাশে থাকতে শুরু করবে। দিল্লিতে যেমন হচ্ছে। তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের মাছ রান্না করে খাওয়াবেন?"
এরপরেই তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতা করে সরব হন বাঙালিরা। বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য ট্যুইট করে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান অভিনেতা। জানান, তিনি বাঙালি বলতে বাংলাদেশী বোঝাতে চেয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে নয়।