রাজ্য সরকারের রিপোর্টই বলছে, গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার বিকাশে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংস্কার ও মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রচারে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে বরাদ্দ অর্থের মাত্র ৩৫ শতাংশ খরচ হয়েছে। বরাদ্দ ছিল ২৪১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। খরচ হয়েছে ৮৪ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। ১৬ টি জেলা বরাদ্দ টাকার ৫০ শতাংশও খরচ করতে পারেনি। এই জেলাগুলি হল,আলিপুরদুয়ার,বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, কোচবিহার,দক্ষিণ দিনাজপুর, হুগলি,জলপাইগুলি কালিম্পং, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া,দার্জিলিঙ ছাড়াও চার স্বাস্থ্য জেলা বসিরহাট,বিষ্ণুপুর,নন্দীগ্রাম, রামপুরহাট।
advertisement
আরও পড়ুন: বাজার থেকে মিলেছিল খবর, জয়নগরে এক ব্যক্তির কাছে যা মিলল, আতঙ্কে পড়ে গেল পুলিশও
এই জেলাগুলিতে নতুন সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র,প্রাথমিক ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণে ৯৩ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল জেলাপরিষদকে। ২৫ শতাংশর বেশি খরচই করতে পারেনি জেলাগুলি। ফলে ৭০ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা এক বছরের বেশ সময় ধরে পড়ে রয়েছে। একটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য খরচ ধরা রয়েছে ৩৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। চলতি আর্থিক বছরেও বাঁকুড়া, কালিম্পং, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান এবং রামপুরহাট ও ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলাতে বরাদ্দ নতুন সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ কাজই শুরু হয়নি। এই আর্থিক বছরে রাজ্যে ১১২ টি নতুন সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির কথা। ১০৬ টি ক্ষেত্রে টেন্ডার ডাকা হয়নি। ৯৩১ চালু সাব সেন্টার কে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রূপান্তর করার কথা। প্রতটি ক্ষেত্রে বরাদ্দ রয়েছে সাড়ে লক্ষ টাকা। মাত্র ২০ শতাংশ কাজ এগিয়েছে। ৭২ টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণে ৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। খরচ হয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ।
শুধু স্বাস্থ্য কেন্দ্রই নয়,রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্রামীণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ত্রিস্তরীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের অতিনিষ্ক্রিয়তায় সেই কাজও প্রত্যন্ত এলাকায় হচ্ছে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর। মুর্শিদাবাদ,পুরুলিয়া, রামপুরহাট ও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। এর ফলেই জেলা ও কলকাতা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলির ওপর চাপ বাড়ছে।