কমিশন সূত্রের খবর, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬। বহু বুথে নজরদারির জন্য সিসিটিভি বাসাতে প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়াও এত বিপুল সংখ্যক সিসিটিভি ভাড়ায় সংগ্রহ করা কতটা সহজ হবে তা নিয়েও কমিশন চিন্তিত। প্রতিটি বুথে অন্তত চারটি ক্যামেরা লাগাতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটে একজন ভোটার তিন দফায় তিনটি ভোট দেবে। প্রতিটি ভোটের জন্য আলাদা আলাদা ব্যালট বক্স থাকবে। ভোটারদের সুবিধা করে দিতে প্রথম গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যালট দেওয়া হবে। সেই ব্যালটে ভোট দেওয়ার পর বক্সে ফেললে দ্বিতীয়বারের জন্য ব্যালট দেওয়া হবে পঞ্চায়েত সমিতির ভোট দিতে। শেষে যে ব্যালট পাবে তাতে জেলা পরিষদের ভোট দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অন্তঃসত্ত্বা শুভশ্রীর বেবি বাম্পে আদর করছে ছোট্ট ইউভান, রাজের পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল, দেখুন অদেখা ছবি
ভিন রাজ্য থেকে ভাড়ায় আনার প্রস্তাবও রয়েছে। তার চেয়ে বড় প্রশ্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। কারণ এ বার পঞ্চায়েতে ভোট হচ্ছে ভরা বর্ষায়। গ্রামাঞ্চলে অতিবৃষ্টি ও ঝড়-জলের সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে স্বাভাবিক সময়ই এই ঘটনা ঘটে। তা না হলে ঝড়-জলের সময় বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে বা তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মতো দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুনঃ সিপিআইএমের বড় চাল! হাওড়ায় প্রার্থী দীপিকা ধর, পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন
এ ক্ষেত্রে সিসিটিভি চালু রাখতে কী ব্যবস্থা করতে হবে তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। আদালতের নির্দেশ রয়েছে যেখানে সিসিটিভি বসানো সম্ভব হবে না সেখানে গোটা ভোট প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। যাতে বুথ দখল বা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠলে তা চিহ্নিত করা সহজ হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ভিডিওগ্রাফি করতে হলে বিদ্যুৎ সরবার দরকার। তা কি ঝড়বৃষ্টির সময় পাওয়া যাবে?
জেলাগুলি ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে, কমিশন বলছে ভোটে লাগাম ছাড়া খরচ করা যাবে না। বাজেটের গন্ডির মধ্যেই খরচ রাখতে হবে। অথচ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হচ্ছে। মহকুমা স্তরে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য স্কুল বাড়ি ব্যবহার করতে না বললেও উপায় নেই। এ ছাড়াও বাহিনী যেখানে থাকবে সেখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তাদের অস্ত্র ভান্ডার যেখানে থাকবে সেখানে কোনওভাবেই আলো যেন না নেভে। গোটা চত্বরেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ষার মধ্যে যা নিশ্চিত করে বলা অসম্ভব। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী যেখানে থাকবে সেখানে জেনারেটারের ব্যবস্থা করতেই হবে। এরপর বুথে চাইলেই জেনারেটার বা ব্যাটারির ব্যবস্থা করতে হলে খরচ অনেকটাই হবে। তাই বুথে মোমবাতিই ভরসা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়