রাজভবনে খোলা হল শান্তির ঘর। মূলত নির্বাচনে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানোর জন্য এই শান্তির ঘর বা সহযোগিতার ঘর খোলা হল রাজভবনের তরফে। এমনটাই জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। এই শান্তির ঘরে যে অভিযোগ গুলি আসবে, সেগুলি রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার কে পাঠানো হবে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। ইমেল আইডি এবং ফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হল রাজভবনের তরফে। ফোন নম্বরটি হল :- 033-22001641 এবং মেল আইডিটি- OSD2w.b.governor@gmail.com
advertisement
প্রসঙ্গত, এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিশেষ বৈঠক ছিল তৃণমূলের। সেই বৈঠকের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যপাল প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপাল কি পলিটিক্যাল এজেন্ট হয়ে যাচ্ছেন? শুভেন্দুর ভয়ে কি উনি বেরিয়ে যাচ্ছেন? বিজেপির কেউ ট্রেন দূর্ঘটনায় মারা গেলে সেখানে যাবেন শুধু? রাজ্যপাল খালি আইএসএফ বা বিজেপির নয়, রাজ্যপাল পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। বোস পদবী নিয়েছেন। বোস পদবী হলেই নেতাজী হওয়া যায় না। নির্ভীক হয়ে উঠুন। খালি বিজেপি মারা গেলেই, কেন যাবেন? এখন আইন শৃঙ্খলা হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যপাল এখন কি করে যায় দেখতে? সেটাও সাংবিধানিক পদ। রাজ্যপালের কোনও বাড়তি ক্ষমতা নেই।”
আরও পড়ুন, AC-কুলারের অনেক দাম! এই চাদরে বিছানা থাকবে ঠান্ডা, ঘুমোতে পারবেন বিরাট আরামে
আরও পড়ুন, হাওয়ায় উড়ল সবুজ আবীর, ফলতায় তৃণমূলের দখলে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত
অন্যদিকে ক্যানিংয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, “আমি ক্যানিংয়ের পরিস্থিতির কথা জানতে পেরেই এখানে ছুটে এসেছি সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। সাংবিধানিক পদে থেকে আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য তা মনে করিয়ে দিতে চাই। কোনওভাবেই সন্ত্রাস বরদাস্ত হবে না। কলকাতা হাইকোর্টও সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করার কথা বলেছে। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করার কথা নির্বাচন কমিশনকে বলা হবে।”