উত্তর কলকাতায় বনেদিয়ানা আর আভিজাত্যের প্রতীক শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। এই রাজ পরিবারের দুটি ভাগ রয়েছে, বড় তরফ ও ছোট তরফ। দুই পরিবারের দুটি ভিন্ন ভিন্ন বাড়ি। দুটিতেই দুর্গাপুজো হয়। বড় তরফ মূলত শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা রাজা নবকৃষ্ণ দেবের দত্তক পুত্র গোপীমোহন দেবের বংশধরেরা।
ছোট তরফ রাজা নবকৃষ্ণের নিজ পুত্র রাজকৃষ্ণ দেবের বংশধরেরা। রাজা নবকৃষ্ণ ১৭৫৭ সালে বড় তরফের বাড়িতেই প্রথম দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। তবে পরবর্তীকালে তিনি ছোট তরফের বাড়িতেও পুজোর প্রচলন করেন। সেটি তাঁর নিজ পুত্রের বংশধরদের হাত ধরে এগিয়ে চলেছে বলে এটিই শোভাবাজারের মূল রাজবাড়ির পুজো হিসাবে চিহ্নিত।
advertisement
প্রতি বছরেই শোভাবাজার রাজবাটীর প্রতিমা দেখতে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ মানুষ।এ বারেও তার ব্যতিক্রম হল নয়। চতুর্থীর দিন থেকে বড় তরফের পুজো দেখার জন্য লম্বা লাইন পড়ছে রাজবাড়ির বাইরে। উল্লেখ্য, পঞ্চমীর দিন বিকেল পর্যন্ত ছোট তরফের রাজবাড়ীর পুজো দর্শকদের জন্য খোলা হয়নি।
এ দিকে ষষ্ঠীতে আবারও চেনা ছন্দে পাওয়া গেল মদন মিত্রকে। গায়ে হলুদ পাঞ্জাবি মুখে চেনা কথা ‘ওহ লাভলি’। মধ্য কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ির মঞ্চ মাতাতি য়ে দেন মদন মিত্র। বিচারক হিসেবেই তিনি পঞ্চমীতে গিয়েছিলেন শোভাবাজার রাজবাড়িতে। সেখানেই ঝুমুর শিল্পীদের সঙ্গে পা মেলান কামারহাটির বিধায়ক। গায়ে ছিল হলুদ পাঞ্জাবি ও চোখে চেনা বাহারি রোদ চশমা।