রাজ্যে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যখন তৈরি হয় সেই সময়ে ভিজিটর পদ আইনে উল্লেখ করা হয়েছিল।"ভিজিটর" পদ হিসেবে রাজ্যপালের কী কী ভূমিকা থাকবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ ছিল। সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল এই ভিজিটর পদকে। মূলত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমাবর্তন অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে ভিজিটর পদে সম্মতি আবশ্যক। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিচালনা সংক্রান্ত কাজ নিয়ে যেকোন সময় তথ্য চাইতে পারেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, কোনো অভিযোগ নিয়ে তদন্তের স্বার্থে পরিদর্শক দল পাঠাতে পারেন রাজ্যপাল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিজিটর পদে রাজ্যপালকে এমনটাই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর খবর, কেরলে দুই শিশুর শরীরে মিলল নরভাইরাস! কী এই নতুন বিপদ?
সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছ থেকে বেশকিছু বিষয় নিয়ে তথ্য চায়। শুধু তাই নয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গেও বৈঠক করার আগ্রহ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল।যা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সঙ্ঘাত চরমে গেছিল। শুধু তাই নয় রাজ্যপালের এই ভূমিকার কড়া অবস্থান নিয়েছিল রাজ্য সরকার।
এদিনের রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত হবার পর বিধানসভার অধিবেশন এ বিল আকারে পেশ হবে বলেই সূত্রের খবর। আসন্ন বিধানসভার অধিবেশন এই বিল আকারে পেশ হবে বলেই জানা গেছে। এদিনের রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পাশাপাশি রাজ্য সরকারের অন্যান্য দপ্তরের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মূলত কৃষি দপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও মৎস দপ্তর ও স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনস্থ চারটি বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর সিদ্ধান্ত এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।