রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, "পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী যুবক যুবতীরা বুঝে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় রেখে কর্মসংস্থান হবে না। নবান্নের ১৪ তলা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে সরালেই সব সমস্যার সমাধান হবে। দেশের অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকারের মতো বাংলাতেও ডাবল ইঞ্জিন সরকার হলে তবেই কর্মসংস্থানের দিগন্ত উন্মোচিত হবে৷ বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। বিজেপি ক্ষমতায় এলেই শিল্প হবে, বাণিজ্যের পরিবেশ তৈরি হবে, সিন্ডিকেট এবং কাটমানি রাজ বন্ধ হবে, সাদা খাতা জমা দিয়ে শিক্ষকদের চাকরি বন্ধ হবে৷"
advertisement
আরও পড়ুন: বাসের নীচে শুয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আন্দোলনকারীদের, মধ্যরাতে করুণ দৃশ্য করুণাময়ীতে
করুণাময়ীর যে জায়গায় গত তিন দিন ধরে চলছিল আন্দোলন, সকালে সব শুনশান৷ ইতিউতি পড়ে আছে কিছু পোস্টার৷ বসার খবরের কাগজ৷ রাত যত বাড়ছিল, করুণাময়ীতে ততই বাড়ছিল উত্তেজনা। শেষমেশ রাস্তা খালি করতে মধ্যরাতে অভিযানে নামে পুলিশ। কার্যত টেনে হিঁচড়ে, পাঁজাকোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের বাসে এবং প্রিজন ভ্যানে তুলতে শুরু করেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশকর্তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে দুর্বল সরকার বলে আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, "আলোচনার মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের সমস্যা সমাধান করা উচিত ছিল সরকারের। তা না করে মমতা পুলিশ যেভাবে নির্মম অত্যাচার চালালো মেধাবীদের উপর তার নিন্দার ভাষা নেই। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।" নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ২০১৪- এর টেট আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের অত্যাচারের অভিযোগে বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ-সহ পুলিশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও সরব হন শুভেন্দু।
এদিকে, করুণাময়ী থেকে টেট আন্দোলনকারীদের জোর করে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামার ডাক দিল বাম এবং বিজেপি নেতৃত্ব৷ বিজেপি নেত্রী এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের হুঁশিয়ারি, শুক্রবার সকাল থেকে গোটা রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়া হবে৷ এদিন দুপুর একটায় বিজেপির রাজ্য অফিস থেকে মিছিল করবে বিজেপি যুব মোর্চা। আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়ার ছবি পোস্ট করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ''পশ্চিমবঙ্গের মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর অমানবিক রূপ।''