রাজ্যে প্রত্যেক বছরই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি আসন খালি থেকে যাচ্ছে। মূলত জয়েন্ট পরীক্ষা দেরিতে নেওয়া ও ভর্তির সময়সীমা অনেকটা দেরিতে হওয়া। এই অভিযোগেই আসন খালি থেকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষদের। এবছর তার জেরেই তুলনামূলকভাবে পরীক্ষার সময়সীমা অনেকটাই এগিয়ে এনে ২ ফেব্রুয়ারি করা হয়। ইতিমধ্যেই পরীক্ষা হয়ে গেলেও উচ্চমাধ্যমিকের লিখিত পরীক্ষা শেষ না হওয়ার আগে ফলাফল প্রকাশ করতে চাইছে না জয়েন্ট বোর্ড।
advertisement
যদিও ফলাফল অনেকটাই প্রস্তুত করে ফেলেছে বলেই জয়েন্ট বোর্ড সূত্রে খবর। জয়েন্ট বোর্ডের আধিকারিকদের দাবি উচ্চমাধ্যমিকের আগে ফলাফল প্রকাশ করলে পড়ুয়াদের ওপর মানসিক চাপ বাড়বে। এক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে অমনোযোগী হয়ে যাবে পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয় আইএসসি,সিবিএসই এর মত পরীক্ষাগুলিও মার্চের শেষ সপ্তাহে শেষ হচ্ছে। তবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশ করলেও কাউন্সেলিং উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল না বেরোনো পর্যন্ত করা যাবে না।
তবে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ফলাফল বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই র্যাঙ্ক কার্ড দিয়ে দেবে জয়েন্ট বোর্ড। এর ফলে পড়ুয়ারা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারবেন কোন কলেজে বা কি নিয়ে পড়তে চান। তার জেরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন খালি থাকার প্রবণতা অনেকটাই আটকানো যাবে বলে আশাবাদী জয়েন্ট বোর্ড। গতবছর ৬০ শতাংশেরও বেশি আসন খালি ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর। রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং এর পড়ার মোট আসন প্রায় ৩৩ হাজার। এই মুহূর্তে সরকারি কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি কলেজগুলি মিলিয়ে ১২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়।
SOMRAJ BANDOPADHYAY