এই নিয়ে গত জানুয়ারি মাস থেকে সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে গোটা রাজ্যে জ্বর, শ্বাসকষ্টর মতো সমস্যা নিয়ে একশোটি শিশুর মৃত্যু হল৷ এদের মধ্যে অনেকেরই ডেথ সার্টিফিকেটে অ্যাডিনো সংক্রমণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ আবার অনেকের মৃত্যুর কারণ অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন৷ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে অবশ্য এত শিশু মৃত্যুর কথা অস্বীকার করা হয়েছে৷
advertisement
জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাতে জ্বর, তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বেলেঘাটার বি সি রায় শিশু হাসপাতালের এইচডিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয় চার মাসের শিশু দেব বারুইকে৷ সে উত্তর চব্বিশ পরগণার বনগাঁর বাসিন্দা৷ এ দিন দুপুর দুটো নাগাদ শিশুটির মৃত্যু হয়৷ জানা গিয়েছে, এই শিশুটি আগেও বি সি রায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল৷ গত চব্বিশ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়৷ কিন্তু বাড়ি ফেরার একদিন পরেই ফের নতুন করে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি৷
আরও পড়ুন: আতঙ্কের নাম অ্যাডিনোভাইরাস, পরিস্থিতি বেগতিক! বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের আসরে নামাল সরকার
এ দিন সকালেও বি সি রায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেড় মাস বয়সি আরও একটি শিশুর মৃত্যু হয়৷ গাইঘাটার বাসিন্দা অরূপ বিশ্বাস নাম ওই শিশুটিকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করানো হয়েছিল৷ এ দিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ শিশুটির মৃত্যু হয়৷ তার ডেথ সার্টিফিকেটে অবশ্য সিভিয়ার নিউমোনিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বিধানসভায় দাবি করেছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ তাদের মধ্যে ১৩ জনের কোমর্বিডিটি ছিল বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রীর। বাকি ছ জন অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণে মারা গিয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও করোনার সময়ের মতোই ফের একবার মাস্ক পরার অভ্যাস শুরু করার পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷