যেটা পড়লেন সেটা ছিল একটা সাজানো চিত্রনাট্য। তবে এমনই নানা ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয় ভারতের এলিট বাহিনী এন এস জি'কে। প্রকৃত ঘটনা কেমন হয়, কীভাবে চলে অপারেশন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সামনে তা করে দেখালেন এন এস জি'র জওয়ানরা।
মুম্বাই হামলার ঘটনার পরে রাজ্যে এন এস জি ক্যাম্প গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উত্তর ২৪ পরগনার বাদুতে তৈরি হয় এন এস জি হাব। যদিও তা চলছিল অস্থায়ী ভাবে। এবার বিমানবন্দরের খুব কাছে নিউটাউনে তৈরি করা হল এন এস জি হাব বা ২৯ স্পেশাল কম্পোজিট গ্রুপের শিবির। যেখান থেকে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিহার, উড়িষ্যা, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশে কিছু ঘটলেই সহজেই উড়ে যাবে ফোরস ওয়ানের সদস্যরা। এদিন কলকাতায় এসে চেন্নাই, হায়দরাবাদ, মুম্বইয়ের বেশ কিছু ভবনেরও উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী দিনে যাতে, পরিবারের সাথে জওয়ানরা থাকতে পারে সেই ব্যবস্থাই পাকা করা হচ্ছে। অমিত শাহ জানিয়েছেন, বছরে ১০০ দিন যাতে জওয়ানরা পরিবারের সাথে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।
advertisement
নিউটাউনের এই স্থায়ী শিবিরে থাকছে, অলিম্পিক মানের সুইমিংপুল। থাকছে কৃত্রিম রক। থাকছে বিভিন্ন ধরণের বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার ব্যবস্থা। এছাড়া থাকছে ডগ স্কোয়াড থেকে শুরু করে আরও আধুনিক মানের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। এছাড়া থাকছে দুটি আলাদা বহুতল। যেখান থেকে প্রশিক্ষণ যেমন চালানো যাবে তেমনই থাকবেন জওয়ানের পরিবারও।
রবিবার গোটা দেশের এন এস জি কম্যান্ডোদের সাথে বৈঠক করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বিভিন্ন প্রান্তের কম্যান্ডোদের কাজের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি এটিও মনে করিয়ে দেন, "এন এস জি'র জওয়ানদের কাজের জন্য টেকনোলজির উন্নতি করতে হবে। তেমনিভাবে জওয়ানদের প্রায়োরিটি বুঝতে হবে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে যাতে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।" এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অক্ষরধাম মন্দির ও মুম্বাই হামলার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তবে দেশের সীমা পার করে কেউ যদি অশান্তি পাকাতে চায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছেন। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এন এস জি'র ডিজি। আগামী দিনে দেশের সুরক্ষায় এন এস জি'কে আরও আধুনিক করার কথা তিনিও জানিয়েছেন।
ABIR GHOSHAL