সোমবার রাতে রোগী মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এনআরএস হাসপাতাল। দু'পক্ষের গোলমালে জখম হন এক জুনিয়র ডাক্তার। তারপর থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জরুরি বিভাগ। সুপারের ঘরের সামনে অবস্থানে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। এনআরএসে যান স্বাস্থ্য দফতরের তিন সদস্য। কথা বলেন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। পরে প্রিন্সিপ্যাল শৈবাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। প্রিন্সিপ্যালের ঘরে যাওয়ার সময়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
advertisement
দফায় দফায় বৈঠকেও কোনও সমাধান মেলে না। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু তাতেও অনড় চিকিৎসকরা। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষাস্বাস্থ্য আধিকারিকও।
দুপুরে এনআরএসে যান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও। স্বাস্থ্য প্রতিন্ত্রী ও হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে থাকেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাও। বৈঠকের পর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কমিশনার। কিন্তু অবস্থান তুলতে রাজি হননি জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা।
এদিকে সিসিটি ফুটেজ দেখে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে এন্টালি থানার পুলিশ। তাঁরা সকলেই রোগীর পরিবারের সদস্য। আরও কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।