১০ জুন রোগী মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র এনআরএস হাসপাতাল। রোগীর আত্মীয় পরিজনদের মারধরে গুরুতর আহত হন জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়। প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই আন্দোলনে সমর্থন জানান। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজ ও বাইকের সূত্র ধরে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও জেল হেফাজত মিলিয়ে ১৯ দিন তাদের আটকে থাকতে হয়। তাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারাও যোগ করা হয়। কিন্তু ঘটনার ২১ দিনের মধ্যে হামলায় ব্যবহৃত লাঠি ও হামলাকারীদের বাইক ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই জোগাড় করতে পারেনি পুলিশ। তাই জামিন পেয়ে যায় ধৃতরা। শনিবার ভবানীভবনে পুলিশ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার সঙ্গে বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে। তারপরেই সোমবার আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল এন্টালি থানার পুলিশ। ধৃত তাবের ও নিজামুদ্দিন ৷ ঘটনার দিন লাঠি নিয়ে এনআরএসে ছিল দু’জন ৷ এন্টালির বাড়ি থেকে দু’জন গ্রেফতার ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয় ৷
advertisement
৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা, ৩২৪ ধারায় মারধর, ৩২৬ ধারায় মারধরে গুরুতর জখম, ৩৩৩ ধারায় সরকারি কর্মীকে কাজের সময় জখম করা ও চার নম্বর পিডিপিপি অ্যাক্টে সরকারি হাসপাতালে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীর দাবি, জুনিয়র ডাক্তাদের সন্তুষ্ট করতেই সোমবারের গ্রেফতারি। ধৃত দু’জনকে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।