নির্দেশিকায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে কোনও রোগী রাজ্য সরকারের কোনও মেডিক্যাল কলেজ অথবা হাসপাতালে এলে তাকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে চিকিৎসকদের। দিতে হবে যথোপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা। কিন্তু সেই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ দিতে হবে বিদেশি সেই নাগরিক বা তাঁর পরিবারকে।
পূর্ব পরিকল্পিত যে কোনও ধরনের অস্ত্রোপচার, পেসমেকার, স্টেন্ট বসানোর প্রয়োজনীয়তা রোগীর থাকলে স্বাস্থ্যসাথীর বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট খরচই বহন করতে হবে বিদেশ থেকে আগত রোগীদের। প্রয়োজনীয় বেড ভাড়া দিতে হবে স্বাস্থ্যসাথীতে থাকা প্যাকেজ অনুযায়ী। তবে কেবিন অথবা পেয়িং কেবিনের ভাড়া সরকারের পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া হিসেবে ধার্য করা হবে। এছাড়া যে সমস্ত চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নেই, সেই সমস্ত চিকিৎসার খরচ কত হবে তা নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালই।
advertisement
আরও পড়ুন: পৃথিবীতে এমন এক সাগর আছে, যেখানে কেউ ডোবে না! কেন এই সাগর মৃত? চমকে দেবে অজানা তথ্য!
এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বিদেশি নাগরিকদের তথ্য আলাদা করে স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে আপলোড করতে হবে। বিদেশি রোগী ভর্তি হওয়ার পর স্বাস্থ্য দফতরের ঠিক করে দেওয়া নির্দিষ্ট ফর্মে রোগীর তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে ফরেইনার রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারকে।
স্বাস্থ্য দফতরের নাম জানাতে অনিচ্ছুক অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “বছরে কতজন বিদেশি নাগরিক বিনামুল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়ে থাকেন তাঁর হিসেব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও গত ৫ বছরে কত বিদেশি নাগরিক বিনামূল্যে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়েছেন তারও হিসেব দিতে বলা হয়েছে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আধিকারিকদের।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের শহরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশ থেকে আগত রোগীদের সংখ্যা সব থেকে বেশি। আমাদের চিকিৎসকেরা বিদেশি নাগরিক বুঝতে পারলেও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া ছাড়া কিছু করার ছিল না এতদিন। পরিষেবা দিতেই হত। কিন্তু এবার থেকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সবটা করতে হবে।”