TRENDING:

আবারও অমানবিক কলকাতা মেডিক্যাল! মুমূর্ষু বৃদ্ধাকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে গেলেন বৃদ্ধ স্বামী

Last Updated:

ইমার্জেন্সিতে নিয়ে এলে কোনও স্ট্রেচার বা ট্রলি বা হুইল চেয়ার মেলেনি। এগিয়ে আসেনি কোনও হাসপাতাল কর্মীও।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ABHIJIT CHANDA
advertisement

#কলকাতা: শোভাবাজারের বাসিন্দা সুপ্রিয়া সেন, ৬০ বছর বয়স। বাড়িতেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে তীব্র শ্বাসকষ্ট, মাথায় যন্ত্রণা, বমি, ডায়রিয়া শুরু হয়। শুক্রবার সকালে সুপ্রিয়াদেবির বৃদ্ধ স্বামী অমিতাভ সেন, পুত্র অরিত্রিক সেন, সুপ্রিয়া দেবীকে নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসেন। ইমার্জেন্সিতে নিয়ে এলে কোনও স্ট্রেচার বা ট্রলি বা হুইল চেয়ার মেলেনি। এগিয়ে আসেনি কোনও হাসপাতাল কর্মীও। এরপর একপ্রকার বাধ্য হয়েই স্বামী এবং সন্তান দু’জনে মিলে চ্যাংদোলা করে সুপ্রিয়া দেবীকে বহু কষ্ট করে এমার্জেন্সিতে নিয়ে যান। সেখানেই শেষ নয়। এরপর চিকিৎসককে দেখানোর পর আবারও চ্যাংদোলা করে সিটি স্ক্যান করতে নিয়ে যান পাশে। পরে সুপ্রিয়া সেনকে ইমারজেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

advertisement

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ গত ৭ মে থেকে করোনা হাসপাতাল হিসাবে চিহ্নিত হয়। এরপর থেকেই একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা মোকাবিলায় প্রায় ৪০০ জন অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করে। এছাড়াও অনেক অভিযোগ ওঠার পর বেশ কিছু ট্রলি, স্ট্রেচার, হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে। তবে এ দিনের ঘটনায় সে সবই যে আসলে অন্তঃসারশূন্য, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

যদিও রোগীর পরিবার এই বিষয় নিয়ে বিশেষ কোনও কথা বলতে চাননি। তবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। কেন কোনও ট্রলি বা স্ট্রেচার, হুইল চেয়ার পাওয়া যায়নি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । কোনও কর্মী কেন সাহায্য করেনি, তাও দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়। দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
আবারও অমানবিক কলকাতা মেডিক্যাল! মুমূর্ষু বৃদ্ধাকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে গেলেন বৃদ্ধ স্বামী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল