এই নয়া ব্যানার-পোস্টারে একদিকে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আছে। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, দোলা সেন, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, সরাসরি তারা এই পোস্টার দিতে কাউকে বলেননি। কোনও শুভানুধ্যায়ী এই পোস্টার দিয়েছেন ৷ তবে পোস্টারে যে লেখা হয়েছে সেটা তাদের দলের লাইন।
আরও পড়ুন- পুজোর ঢাকে কাঠি, আজ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে রাজ্য সরকার
advertisement
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি রাস্তায় নেমেছে দলের একাধিক সংগঠন। এই অবস্থায় এই পোস্টার এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা প্রশ্নে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ, মিছিল করেছে রাজ্যের শাসক দল। গত সপ্তাহে রাজ্যের সব জেলায় এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে বলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে এ বার বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-আসছে মাধবীলতা, অ্যাকশন-রোম্যান্সে ভরা এই ধারাবাহিক চমক দিতে তৈরি
দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত বৈঠক, বিরোধী দলগুলির থেকে দলের ‘দূরত্ব’ তৈরি নিয়ে চর্চা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তৃণমূলকে নিয়ে নানা প্রশ্ন দানা বেঁধেছিল। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে ‘সর্বাত্মক’ প্রতিবাদের কথা জানিয়ে গোটা বিষয়টিতে অন্য মাত্রা যোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির আচরণের বিরুদ্ধে পথে নামে তৃণমূল। তাদের ভূমিকা যথাযথ নয় বলে দাবি করেছে বাংলার শাসক দল।
গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে কয়লাকাণ্ডে সক্রিয় ইডি। শুধু তাই নয়, গত ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই আবহে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, তাদের অভিযোগ, বিজেপি বিরোধী হলেই সক্রিয়তা, বিজেপি দলের কেউ হলেই নিষ্ক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির।