নীতি আয়োগের ওয়েবসাইটে ‘সামারি রিপোর্ট ফর দ্য স্টেট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ নামে চার পাতার একটি নথি রয়েছে। সেই রিপোর্টটি ঘিরেই বিতর্ক। পশ্চিমবঙ্গ সংক্রান্ত ওই রিপোর্টের প্রচ্ছদে ভারতের মানচিত্রে বিহারকে চিহ্নিত করা আছে। নীতি আয়োগের মতো দেশের প্রথম সারির একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের এমন ভুলকে কোনও সাধারণ ত্রুটি হিসাবে দেখতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। এর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের পরিচয় এবং মর্যাদাকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি।
advertisement
এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়ের প্রশ্নে লিখিত সংশোধনী প্রকাশ করে তার উত্তর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, “নীতি আয়োগের পশ্চিমবঙ্গের বার্ষিক রিপোর্টে অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছিল। অবশ্য দ্রুততার সঙ্গে সেই ভুল শুধরে নেওয়া হয়েছে।”কেন্দ্রের জবাব প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভুল স্বীকার করেছেন ওরা। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হয়েছে। বাকি রাজ্যের ক্ষেত্রে হল না! এই ত্রুটি কি কাকতালীয়? যে সময় দেশজুড়ে বাংলাভাষী মানুষের উপর আক্রমণ শুরু হয়েছে, বাংলায় কথা বলাটা অপরাধে পরিণত হয়েছে… সেই সময় হঠাৎ নীতি আয়োগের রিপোর্টে বাংলার জায়গায় বিহারের মানচিত্র। ওরা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি বললেও বাংলার বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বিজেপি সরকার, বাংলার মানুষ বিশ্বাস করতে রাজি নয় যে, এটা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি।”
নীতি আয়োগের সহ-সভাপতি সুমন কে বেরিকে পাঠানো চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সরকারি নথিতে এমন একটি গুরুতর ভুল শুধুমাত্র কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের পরিচয় এবং মর্যাদাকে অপমান করা হয়েছে। নীতি আয়োগের সরকারি নথিতে এই ধরনের সাংঘাতিক ভুল মনোযোগ এবং রাজ্যগুলির প্রতি সম্মানের অভাবকেই প্রতিফলিত করে।