অর্থমন্ত্রী তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর লালকেল্লার ঘোষণা নিয়ে জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া ভুল ধারণা ভাঙার চেষ্টা করেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণা কোনো একক সিদ্ধান্ত ছিল না, বরং জিএসটি কাউন্সিলের একটি আসন্ন বৈঠকের পূর্ব-ইঙ্গিত ছিল। তিনি আরও জানান, ট্যাক্স কমানোসহ অন্যান্য সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মন্ত্রীদের গ্রুপের প্রস্তাব এবং সব রাজ্যের সম্মতির পরই চূড়ান্ত হয়। রাজ্যগুলোর রাজস্ব ক্ষতি সংক্রান্ত উদ্বেগ প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।
advertisement
সীতারমণ বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়ই সমানভাবে জিএসটি রাজস্বের হ্রাস-বৃদ্ধিতে প্রভাবিত হয়। তিনি বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কোনো ‘দাতা-গ্রহীতা’ সম্পর্ক নেই, যেখানে কেন্দ্র একা কোনো রাজ্যের ঘাটতি পূরণ করবে। তিনি জানান, মোট জিএসটি রাজস্ব ৫০-৫০ অনুপাতে ভাগ করা হয় এবং কেন্দ্রের অংশ থেকেও একটি বড় অংশ রাজ্যগুলোতে ফেরত যায়। তাই, রাজস্ব ঘাটতি হলে তা কেন্দ্রের উপরও সমানভাবে প্রভাব ফেলে।
এইদিন তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে,পশ্চিমবঙ্গের ১১টি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী পণ্য সংস্কারের অধীনে জিএসটি হার কমানোর ফলে বিশেষভাবে উপকৃত হবে। তার মধ্যে রয়েছে শান্তিনিকেতনের চামড়ার সামগ্রী, বাঁকুড়ার পাঁচমুড়া টেরাকোটা শিল্পকর্ম, মেদিনীপুরের মাদুরকাঠি ও বিভিন্ন ধরনের পণ্য, পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ, কুশমণ্ডির কাঠের মুখোশ, শোলার হস্তশিল্প, নকশি কাঁথা , হাতে তৈরি/হাতে সেলাই করা শাল বা অন্যান্য সামগ্রীর জন্য , মালদার প্রক্রিয়াজাত আমের পণ্য, দার্জিলিং চা , চা-এর নির্যাস বা এসেন্সের জন্য, পাটের তৈরি হাতব্যাগ ও কেনাকাটার ব্যাগ এবং হোসিয়ারি ও তৈরি পোশাক।সবশেষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রত্যেকটি রাজ্যের সম্মিলিত সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং বলেন, সব রাজ্যের অংশগ্রহণের কারণেই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায়, এই বক্তৃতা রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট প্রভাবদায়ক হয়েছে।