সূত্র মারফত খবর পেয়ে গত ১১ জুলাই হরিদেবপুর থেকে এই তিন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ শাখা। পরে আরও একজনকে গ্রেফতার হয় বারাসাত থেকে। বিপুল অর্থ সংগ্রহ এবং নতুন মডিউলে স্লিপার সেল তৈরি৷ এই দুই লক্ষ্য নিয়েই কলকাতায় এসে গা ঢাকা দিয়েছিল তিন জামাত জঙ্গি৷ কলকাতার কয়েকটি ব্যাঙ্ক, গয়নার শোরুম, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি করার জন্য রেইকিও করেছিল তারা৷ আর এই গোটা ছকের নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশে জেলবন্দি জামাত জঙ্গি তাহিদ তাসনিম৷ জেলে বসেই তাহিদ এই গোটা পরিকল্পনা ছকেছিল বলে অনুমান কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর৷ এবার সেই ঘটনাতেই ঢুকতে চাইছে এনআইয়ে। তিন জঙ্গিকে কবে কোর্টে তোলা হবে তা জানতে আদালতে আবেদন জানাবে এনআইএ।
advertisement
১১ জুলাই হরিদেবপুরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে নাজিউর রহমান, শেখ সাব্বির ও রবিউল নামে তিন জামাতুল মুজাহিদিনের জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধৃতদের জেরায় জানা যায়, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল ধৃতরা। ফল বিক্রি করে, রিকশা চালিয়ে এলাকায় বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছিল এই তিন জঙ্গি।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এসটিএফ জানতে পারে, সেলিম মুন্সি নামক আরও একে জঙ্গি এদের এলাকায় বাড়ি ভাড়া পেতে সাহায্য করে। বাংলাদেশের জেএমবি-র নেতা আল আমিন, যে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের এক জেলে বন্দি রয়েছে, তার নির্দেশেই ১৫জনের দল বাংলাদেশ থেকে মালদহ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে। জেএমবি-র নতুন মডিউল তৈরির নির্দেশ ছিল আল আমিনের।