বাঘ, সিংহের মত বিগ ক্যাটের জন্য যে রকম ওপেন এয়ার এনক্লোজারের প্রয়োজন, তেমনি এনক্লোজার নির্মাণ করা হচ্ছে নিউ টাউনের এই চিড়িয়াখানায়। গাছ গাছালি, গুহা, জলাশয় সহ বাঘ, সিংহের অবাধ বিচরণের জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজনীয় তাই তৈরি করা হচ্ছে এই চিড়িয়াখানায়।
advertisement
ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটি সূত্রে খবর এই নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই বন্য জন্তুদের নিয়ে আসা হবে চিড়িয়াখানায়। শুধুমাত্র বাঘ কিংবা সিংহই নয়, বেশ কিছু লেপার্ড আনার পরিকল্পনাও রয়েছে এই চিড়িয়াখানায়।
আরও পড়ুন – বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ হচ্ছে আরও ঘনীভূত, দিঘায় সমুদ্রের দামাল উচ্ছ্বাস
শুধুমাত্র নিউটাউনের চিড়িয়াখানাই নয়, নতুন করে সাজানো হচ্ছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম সাফারি পার্ক “বেঙ্গল সাফারি”কেও। মহানন্দা অভয়ারণ্যের মধ্যে ৩০০ হেক্টর জায়গা নিয়ে নির্মিত এই বেঙ্গল সাফারি। বন দফতর সূত্রের খবর অতিরিক্ত পশু নিয়ে আসার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে আরও অতিরিক্ত কুড়ি হেক্টর জায়গা। মহানন্দা অভয়ারণ্যের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় কৃত্রিমভাবে পরিবেশ নির্মাণ করার প্রয়োজন পড়ে না এই সাফারি পার্কটিতে। পর্যটকরা খাঁচার ভেতরে পশুপাখি দেখার পরিবর্তে গাড়িতে করে সাফারির আনন্দে বন্যপ্রাণকে প্রত্যক্ষ করেন।
বাঘ, চিতাবাঘ, হাতি, হরিণ সহ বিভিন্ন পশুই অবাধে বিচরণ করে এই পার্কটিতে। আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা কিছু সিংহের জন্য আলাদা করে জায়গা প্রস্তুত করা হচ্ছে এই পার্কটিতেও। অতিরিক্ত ১২ টি বাঘ এবং ১৮টি সিংহ আনা হচ্ছে এখানে। কেনিয়া, কঙ্গোলসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আনা অনেকগুলি আফ্রিকান সিংহকে নিউ টাউন চিড়িয়াখানা এবং বেঙ্গল সাফারি পার্কে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে।
Sanhyik Ghosh