নিউটাউনের এই ঘটনায় গ্রেফতার দুই। এক মহিলা ও এক যুবক, নন্দিতা দত্ত ও মৈনাক ঘোষ।সূত্রের খবর, নন্দিতা দমদমের বাসিন্দা ও মৈনাক নাকতলার। তবে আরও দুজনকে ধরা হয় দমদম থেকে। তারা নন্দিতার বাড়িতে ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এরা দুজন পর্নোগ্রাফি ব্যবসার ডিরেক্টর ছিল বলেও জানা যাচ্ছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
advertisement
মুম্বই-এর মতোই কলকাতাতেও ছড়াচ্ছে পর্ণোগ্রাফির জাল। সূত্রের খবর, নিউটাউনের(Newtown) তিন তারা হোটেলে অবাধে চলত পর্ণোগ্রাফির শুটিং(Pornography Shooting)। টার্গেট থাকতো নতুন মুখ। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠতি মডেলদের টার্গেট করেই রমরমিয়ে চলতো নীলছবির কারবার। বিদেশের ওটিটি অ্যাপে সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডাকা হত হোটেলে এরপরই জোর করে ধমকি দিয়ে শ্যুট করানো হত পর্ণোগ্রাফি ভিডিও।
এমনই পর্ণোগ্রাফি চক্রের শিকার নিউটাউনের এক বেসরকারী সংস্থার কর্মী। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয় একজন ফটোগ্রাফারের। সেখানেই তাকে প্রস্তাব দেয় ফটো শ্যুটের। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে সুযোগের হাতছানি হাতছাড়া করতে চাননি নিউটাউনের বাসিন্দা ওই যুবতী। যোগাযোগ হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বালিগঞ্জের একটি বাড়িতে। সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে শাড়ির ফটোশ্যুট নয়, তাঁকে করতে হবে নগ্ন ফটোশুট। জানতে পেরে সে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে তাকে 'হুমকি' দেওয়া হয় বলে অভিযোগ যুবতীর। তাকে দিয়ে জোর করে করানো হয় অর্ধনগ্ন ফটোশ্যুট।
একই ধরনের ঘটনা ঘটে আরও এক উঠতি মডেলের সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিচয়ের পরে তাঁকে আসতে বলা হয় নিউটাউনের একটি তিন তারা হোটেলে। সেখানে ৮তলার একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে দিয়ে জোর করে করানো হয় পর্ণোগ্রাফি ভিডিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশের দারস্ত হন দুই যুবতী। নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ।
অনুপ চক্রবর্তী