গত ২৮ অক্টোবর সল্টলেকের দত্তাবাদ থেকে স্বপন কামিল্যা নামে ওই সোনা ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে। নিজের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া গয়না উদ্ধার করতে গিয়েই রাজগঞ্জের বিডিও ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে নিউ টাউনে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ। মারধরের সময়ই মৃত্যু হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা স্বপন কামিল্যার৷ ওই ব্যবসায়ীর মৃতদেহ বিডিও-র গাড়ি করেই যাত্রাগাছির খালপাড়ে ফেলে আসা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
advertisement
এই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে অভিযুক্ত বিডিও-র কলকাতার গাড়ির চালকও রয়েছে। পুলিশের জালে বিডিও-র মাসলম্যান-ও! কোচবিহার থেকে গ্রেফতার করা হয় বিবেকানন্দ সরকারকে। স্বপন কামিল্যা খুনে সরাসরি তার যুক্ত থাকার অভিযোগ। দাঁতনে পরিবারের দেওয়া ভিডিওতেও বিবেকানন্দের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
পাশাপাশি তদন্তে নেমে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে নিউটাউনের ৮ জায়গার ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল পুলিশ। এ ছাড়া সল্টলেকের ছ’টি জায়গার ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণের মুহূর্তের আরও স্পষ্ট ছবি তদন্তকারীদের হাতে এসেছে৷ এতদিন ঘরের ভিতরে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধরের ছবি তদন্তকারীদের হাতে আসেনি । মারধর করার সেই ভিডিও রেকর্ডিং অভিযুক্ত বিডিও-র গাড়ির চালক রাজু ঢালির মোবাইল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মারধরের সময়ও বিডিও প্রশান্ত বর্মন যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, ভিডিও-তে সেই প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ। বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশের পক্ষ থেকে বিডিওর গোটা গতিবিধির উপরে নজর রাখা হচ্ছে৷
