TRENDING:

ছিনতাই নয়, ‘আমিই বাচ্চাকে খুন করেছি’ স্বীকার করল মা! সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার শিশুর দেহ

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বেলেঘাটার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড় ৷ নিজের সন্তানের ‘খুনি’ মা-ই ৷ পুলিশের জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে মা সন্ধ্যা মালু ৷ নিজেই শিশুকন্যাকে খুন করে ছিনতাইয়ের ‘নাটক’ করেছিল সন্ধ্যা ৷ জেরায় সন্দেহ হয় পুলিশের ৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সন্ধ্যা ৷ রবিবার রাতে আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল শিশুর দেহ ৷ শিশুর দেহ এনআরএস-এ নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ সন্ধ্যা মালুকে গ্রেফতার করেছে বেলেঘাটা থানার পুলিশ ৷ আগামিকাল তাকে আদালতে তোলা হবে ৷ ধৃতের পুলিশি হেফাজতের দাবিও জানানো হবে ৷
advertisement

তবে কী কারণে নিজের সন্তানকে এভাবে খুন করেছে মা? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে হতবাক পুলিশ অফিসাররাও ৷ নিজের সন্তানের প্রতি চরম অনীহা এবং অবসাদের ফলেই এমন কাণ্ড করেছে অভিযুক্ত, সন্ধ্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ সন্ধ্যা জানিয়েছে, বাড়ির সামনের সেপটিক ট্যাঙ্ক প্রতিবেশীদের নজরে থাকে ৷ সেখানে মাঝেমধ্যেই পরিষ্কারের কাজ হয় ৷ সে কারণে বাচ্চার মৃতদেহ পিছনের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলেছে সে ৷ তবে এই গোটা কর্মকাণ্ডে অন্য আর কেউ নিযুক্ত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ সন্ধ্যার মানসিক পরিস্থিতি জানতে প্রয়োজনে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞেরও সাহায্য নিতে পারে পুলিশ ৷

advertisement

অথচ রবিবার সন্ধে পর্যন্ত ঘটনা ছিল অন্যরকম ৷ মায়ের বয়ান অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে, দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বেলেঘাটার সিআইটি রোডের এক আবাসনের তিন তলায় মালু পরিবারের বেল বেজেছিল। সেই সময় ঘরে উপস্থিত ছিল মা সন্ধ্যা মালু ও তার ২ মাসের মেয়ে । সেই বেলের আওয়াজ শুনে দরজা খোলে সন্ধ্যা। দরজা খুলতেই এক অচেনা ব্যক্তি আবাসনের ছাদের চাবি চান। কোনও সন্দেহ না করেই স্পষ্ট জানানো হয়, চাবি আছে আয়া-র কাছেই, তিনিও ছাদে। তারপরে দরজা বন্ধ করতেই জোর করে ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করে ঐ অচেনা ব্যক্তি। বাধা দিতে গেলে জোর করে ঘরে ঢুকে যায় ওই ব্যক্তি।

advertisement

গৃহবধূ, সন্ধ্যাকে এরপর মারধর করে ওই ব্যক্তি ৷ ঘরে রাখা টিভি স্ট্যান্ডের পাশে পড়ে জ্ঞান হারায় সন্ধ্যা । তার কিছু সময় পরে শিশু কন্যার দাদু ঘরে আসতেই দেখেন দরজা খোলা ৷ প্রথমে সন্দেহ না হলেও দেখেন পুত্রবধূ পড়ে আছে ঘরে। ঘরের ভিতর গিয়ে দেখেন দুই মাসের কন্যা সন্তান ছিনতাই হয়ে গিয়েছে। তারপরেই খবর যায় বেলেঘাটা থানায়। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ও আয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। পরবর্তীকালে পুলিশ আবাসনে এসে সিসিটিভির সন্ধান করলে জানতে পরে দীর্ঘদিনের আবাসনে সিসিটিভি বসানো হয়নি। ডিসি ইএসডি অজয় প্রসাদ নিজে ঘটনাস্থলে এসে সন্ধান চালান সিসিটিভির। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ ও আশপাশের কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া মালু পরিবারের দম্পতির কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখা হয়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

তবে ডিসি ইএসডি অজয় প্রসাদ জানান, প্রাথমিক তদন্তের পরেই সন্ধ্যার অসংলগ্ন কথাবার্তায় তাঁদের সন্দেহ হয়েছিল ৷ ফলে বারংবার জেরা চালাতে থাকেন তাঁরা ৷ তখনই ভেঙে পড়ে সন্ধ্যা ৷ ঘটনায় হতবাক সন্ধ্যার স্বামী এবং পরিবারের বাকি লোকজনরাও ৷

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
ছিনতাই নয়, ‘আমিই বাচ্চাকে খুন করেছি’ স্বীকার করল মা! সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার শিশুর দেহ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল