ধৃত সৌমিত্রকে গতকাল তার বাড়িতে নিয়ে এসেছিল পুলিশ৷ তখনই স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় অভিযুক্তের৷ তার পর এ দিন সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন ওই ধৃতের স্ত্রী৷
আরও পড়ুন: হোটেলে খেতে ঢুকলেন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক, খবর গেল থানায়! তার পরই জামালপুরে অবাক কাণ্ড
ওই তরুণীর দাবি, ঘটনার দিন ওই কিশোরীকে ভুল বুঝিয়ে নিজের টোটোয় তোলে তার স্বামী৷ মা বকা দেওয়ায় রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল ওই কিশোরী৷ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েই মাঝরাস্তা থেকে ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে নিজের টোটোয় তোলে সৌমিত্র৷
advertisement
ধৃতের স্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন, টোটোয় তোলার পর প্রায় তিন ঘণ্টা ওই কিশোরীকে নিয়ে নিউ টাউনের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরে সৌমিত্র৷ এর পর নির্জন জায়গায় ওই ঝোপের কাছে নিয়ে গিয়ে কিশোরীর উপরে অত্যাচার শুরু করে সে৷ সৌমিত্র নিজেই গতকাল তাঁকে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই তরুণী৷
তাঁর দাবি, ‘আমার স্বামী প্রথমে টোটোয় থাকা স্প্রিং গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ওই মেয়েটিকে খুন করে৷ এর পর ওই অবস্থাতেই তাকে ধর্ষণ করে সৌমিত্র৷ এর পর সম্ভবত একটা বস্তায় ভরে কিশোরীর দেহ ঝোপের মধ্যে ফেলে চলে আসে৷’
ওই তরুণী জানিয়েছেন, ঘটনার পর দু দিন বাড়িতে চুপচাপ ছিল সৌমিত্র৷ কী হয়েছে বার বার জিজ্ঞেস করলেও মুখ খোলেনি সে৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় ওই যুবক৷
ধৃতের স্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সৌমিত্রের আগেও একটি বিয়ে ছিল৷ কিন্তু সে কথা তিনি জানতেন না৷ এই ঘটনার পর সৌমিত্র পুলিশের কাছে প্রথম বিয়ের কথা স্বীকার করে৷ ওই তরুণীর কথায়, ‘আমার স্বামী মানসিক বিকারগ্রস্ত৷ ওর যা শাস্তি হওয়া উচিত, তাই হোক৷ ওর মতো মানুষ জেলের বাইরে থাকলে অন্য আরও অনেক মায়ের কোল খালি হয়ে যাব৷’
সৌমিত্রর গ্রেফতারির পর তাঁর স্ত্রী অবশ্য প্রথমে নিজের স্বামীর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন৷ দাবি করেছিলেন, এমন কাজ তাঁর স্বামী করতে পারে না৷ যদিও স্বামীর সঙ্গে কথা বলার পরই ভুল ভেঙেছে ওই তরুণীর৷