কলকাতা পুরসভায় এল ঠিকার অফিস। আলিপুরের গোপালনগর থেকে ঠিকা কন্ট্রোলারের দফতরের ঠিকানা বদল। এখন থেকে এই অফিসেই বসবেন ঠিকা কন্ট্রোলার। নতুন কন্ট্রোলার হলেন পুরসভার প্রাক্তন অতিরিক্ত কমিশনার সোমনাথ দে। এই দফতর উদ্বোধন করলেন মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনের চারতলায় আগেই শুরু হয়েছিল ঠিকা সেল। সেই অফিসে বসেন ডেপুটি ঠিকা কন্ট্রোলার সুরজিৎ চন্দ্র।
advertisement
কলকাতা শহরে ২ হাজার একরের বেশি জমি ঠিকার আওতায়। এই ঠিকা জমি নিয়ে রয়েছে হাজারো সমস্যা। ঠিকাপ্রজা বা জমির বাসিন্দাদের কাগজ তৈরি করতে হলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। সমস্যা সুরাহার জন্য কলকাতা পুরসভায় ঠিকা-সেল খুলেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাতেও সমস্যার কমেনি।
টক টু মেয়রে প্রায়শই অভিযোগ আসত ঠিকা অফিস নিয়ে। গোপালনগর অফিস দালালদের আখড়া হয়ে উঠেছিল। সেই দালাল রাজ ভেঙে মানুষের ভোগান্তির কমাতে এবার কন্ট্রোলার দফতর পুরসভার সদর দফতরে আনা হল। এরপর ট্যাংরা শীল লেনেও যে ঠিকা অফিস রয়েছে সেটিকেও কেন্দ্রীয় পুরভবনে আনা হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
ঠিকা জমির অনেক চরিত্র। কোথাও ঠিকা জমি লিজ নিয়ে রয়েছে। কোথাও বা সেই ঠিকা জমির লিজে নেওয়া মালিক আবার প্রজা বসিয়েছেন। তাই ঠিকা প্রজা আবার ঠিকা-প্রজারও ভাড়াটিয়া রয়েছে অনেক জায়গায়। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে নানান জটিলতা তৈরি হয় ঠিকা জমির ক্ষেত্রে।
এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ঠিকা অফিস কলকাতা পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনের মধ্যে এল। এতে অ্যাসেসমেন্ট ও ঠিক রেকর্ড এক জায়গায়, অনেকটাই সুবিধা হল। অযথা কেউ হেনস্থা হলে তৎক্ষণাৎ হস্তক্ষেপ করতে পারব আমি। গোপাল নগরের অফিসে হেনস্থার অনেক অভিযোগ ছিল। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলায় মুখ্যমন্ত্রী এটা আমায় দায়িত্ব দেন। কোনও কেস ২ থেকে ৩ মাসের বেশি যাতে পেন্ডিং না হয় তা দেখতে বলেছি কন্ট্রোলারকে।’