সূত্রের খবর, রাত্রিকালীন নিরাপত্তার কথা ভেবেই এহেন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রাতে পুলিশের সংখ্যা কমে যায়। তাই একদিকে কর্তব্যরত সার্জেন্ট বা সংশ্লিষ্ট অফিসারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যেমন লক্ষ্য, একই সঙ্গে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই সাইড আর্মস অনেকখানিই মনোবল বাড়াবে কর্তব্যরত সার্জেন্টদের বলেই মনে করছে পুলিশের একাংশ।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে বিশেষ দায়িত্ব পেলেন ফিরহাদ-অরূপ-সায়নী-ব্রাত্য, তৈরি হল রোস্টার!
advertisement
লালবাজার সূত্রে দাবি, রাতে ডিউটি করার সময় অনেকক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যেখানে একজন পুলিশ কর্মীর কাছে সাইড আর্মস থাকা বড় ভরসার। কারণ তাতে পুলিশের সংখ্যা কমে আসে, আর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্থানীয় থানাতে ফোন করে বাহিনী চাওয়া ও সেই বাহিনী আসার মধ্যে যে সময়ের ব্যবধান তাতে বড় অঘটন ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মনোবল চাঙ্গা রাখতে এমনই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: আতঙ্কের নাম বউবাজার, আড়াই বছর পর ফের ফিরল ভয়, আর ফেরা যাবে বাড়িতে?
প্রসঙ্গত বহু বছর আগে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সার্জেন্টরা আর্মস ব্যবহার করতেন। তবে তা ছিল দিনের বেলা। সেই প্রথা বন্ধ হয়েছে বহুকাল। এবার রাতে নিরাপত্তার খাতিরে সার্জেন্টদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার। বুধবার রাতেই এই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত ট্রাফিক গার্ডে। প্রসঙ্গত একটা সময় ছিল অভিযোগ উঠত সার্জেন্টদের বিরুদ্ধে। চালক বা সওয়ারিদের হেনস্থা করছেন সার্জেন্টরা। এই অভিযোগ থেকে সার্জন্টদের বাঁচাতে উদ্যোগ নেয় লালবাজার। তাঁদের বুকে ক্যামেরা লাগানো হল। যাতে সরাসরি ভিডিও ধরা থাকবে। আর তাতে কমতে শুরু করল এহেন অভিযোগ। আর এবার রাতে তাঁদের মনোবল চাঙ্গা করতেই অস্ত্র রাখতে অনুমতি বলেই মনে করছেন পুলিশের একাংশ।
---অমিত সরকার