এ বারের পুজোয় এমনিতেই সাবধানের মার নেই। একটু এ-দিক ও-দিক ঘটলেই হামলা চালাতে পারে কোভিড। তাই কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মাস্ক। তা-ই বলে তো আর যেমন তেমন মাস্ক পরা যায় না! তাই এখন মাস্কের চাহিদা আকাশছোঁয়া। কেউ চাইছেন পাঁচ দিনে পাঁচ রকম আবার কেউ চাইছেন বাটিক পোশাকের সঙ্গে বাটিক মাস্ক আবার কেউ চাইছেন চান্দেরি বা কোটকির সঙ্গে ওই জিনিসেরই মাস্ক। ক্রেতাদের এমন দাবিদাওয়া মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মাস্ক উৎপাদনকারীদের। অনেক ক্ষেত্রে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পুজোর আগে বেশ কিছুটা লাভের কড়িও গুণে নিচ্ছেন কেউ কেউ।
advertisement
পদ্ম টেলার্সের তণুশ্রীর কথায়, "এ বারে জামাকাপড়ের চেয়ে মাস্কের চাহিদা বেশি। বাটিক, কোটকি থেকে শুরু করে চান্দেরি, কলামকারি, ডেনিম, এমব্রয়ডারি সব রকম কাপড়ের মাস্ক বানাতে দিচ্ছেন ক্রেতারা। তাই সেইমতো আমাদের কাপড়ও মজুত রাখতে হচ্ছে।" অনলাইন বিক্রেতা মধুশ্রী ভৌমিক বলেন, "এ বারে তো মাস্কেরই বাজার। আমরা বিভিন্ন মাস্কের স্টক রাখতে না রাখতেই তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কোনও মাস্কই পড়ে থাকছে না।"
তবে কোভিড সংক্রমণের মধ্যে যে কোনও মাস্ক পরলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সাবধান করছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই মাস্ক পরার নিদান দিচ্ছেন তাঁরা। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, "পুজোর সময় মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় থাকবে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি এবং দূরত্ববিধি সবসময় মানবেন না। অচেনা ভিড়ে সংক্রমণের সম্ভাবনাও বেশি। তাই সাবধানতা অবলম্বন করাই একমাত্র উপায়। সে ক্ষেত্রে সার্জিকাল মাস্ক কিংবা অন্য উপযোগী মাস্ক ব্যবহার না করে যেমন তেমন মাস্ক ব্যবহার করলে আখেরে ক্ষতি হতে পারে।"