এই ট্রেনটি স্বদেশীয়ভাবে তৈরি করা। সংঘর্ষ এড়ানোর ব্যবস্থা-কবচ সহ অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে দাবি অনুযায়ী ওয়াই-ফাই কনটেন্টের ব্যবস্থা। প্রতিটি কামরায় ৩২ ইঞ্চির স্ক্রিন আছে, যা যাত্রীদের সমস্ত তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রদান করবে এবং রয়েছে সাইড রিক্লাইনার সিটের সুবিধা। এগজিকিউটিভ শ্রেণির কামরায় ঘূর্ণায়মান আসনের বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে।
advertisement
গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহে বাকি ছ’ দিন চলাচল করবে। ২২২২৭ নং (নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি) বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৩১ মে, ২০২৩ তারিখের ০৬.১০ ঘণ্টায় নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রওনা দিয়ে একই দিনের ১১.৪০ ঘণ্টায় গুয়াহাটি পৌঁছবে। ফেরত যাত্রার সময় ২২২২৮ নং (গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি) বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৩১ মে, ২০২৩ তারিখের ১৬.৩০ ঘণ্টায় গুয়াহাটি থেকে রওনা দিয়ে একই দিনের ২২.০০ ঘণ্টায় নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে। উভয় পথে যাত্রা করার সময় ট্রেনটি কামাখ্যা, নিউ বঙ্গাইগাঁও, কোঁকরাঝাড়, নিউ আলিপুরদুয়ার ও নিউ কোচবিহার স্টেশনে থামবে। এই ট্রেনটি গুয়াহাটি ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে।
যাত্রার শুভসূচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই উল্লেখ করেছেন, যে গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি অসম ও পশ্চিমবঙ্গের শতাব্দী প্রাচীন বন্ধনকে আরও মজবুত করে তুলবে। এই ট্রেনটির ফলে ভ্রমণ আরও সহজ হবে, ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন এবং পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি হবে। তিনি বলেন যে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি মা কামাখ্যা মন্দির, কাজিরাঙা এবং মানস জাতীয় উদ্যান ও পবিতরা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে সংযোগ মসৃণ করে তুলবে। এছাড়াও মেঘালয়ের শিলং, চেরাপুঞ্জি এবং অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং ও পাসিঘাটের মতো নৈসর্গিক এলাকায় ভ্রমণ ও পর্যটন বৃদ্ধি পাবে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।