শনিবার বাংলাতেই পরপর দুটি টুইট করেন জগদীপ ধনখর।টুইট করে তিনি বলেন, "আপনার রাজ্যপাল আপনার সেবক। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মাধ্যমে ৪,৭৮ হাজার মেট্রিক টন বিনামূল্যে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে দিয়েছেন।কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। জনপ্রতি মাসিক পাঁচ কেজি চাল এবং পরিবারপ্রতি মাসিক এক কেজি ডাল। রেশন ব্যবস্থাকে রাজনীতির বন্ধন থেকে মুক্ত করতে হবে। আধিকারিকদের অরাজনৈতিকভাবে কাজ করতে হবে। অবৈধ মজুতদারদের আটকাতে এবং কালোবাজারি হাঙ্গরদের তাড়াতে হবে। গরিব মানুষ যাতে সঠিক মাত্রায় সঠিক গুণমানের রেশন বিনামূল্যে ন্যায্য ভাবে পান তা নিশ্চিত করুন।"
advertisement
শুক্রবারই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে রাজ্যপালকে একাধিক অভিযোগ জানানো হয়। একাধিক অভিযোগের মধ্যে রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা প্রসঙ্গ সম্পর্কে রাজ্যপালকে অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে গত সপ্তাহ থেকেই সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর।
গোঁড়া থেকেই রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা রাজনীতি করণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে রেশন ব্যবস্থাকে রাজনীতিমুক্ত করার আবেদন রেখেছিলেন রাজ্যপাল। চলতি সপ্তাহেই রেশনের কালোবাজারি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন কালোবাজারি রুখতে আধিকারিকদের তাদের দায়িত্ব পালন করা উচিত। এমনকি মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কি পরিমাণ এ চাল ডাল পাঠানো হয়েছে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত হিসাব তুলে টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল।
যদিও রাজ্যের খাদ্য দফতর ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে বেশ কয়েকটি রেশন ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করেছে আবার সাসপেন্ড করার মত শাস্তিমুলক পদক্ষেপ নিয়েছে। চলতি সপ্তাহে রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় রেশন ব্যবস্থা নিয়ে বিক্ষোভের ছবিও উঠে এসেছে। এমনকি রেশন ডিলারের বাড়ি ভাঙচুরের মত ঘটনা ঘটেছে। মূলত রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা যাতে দলের নেতারা কোনো মাকনা গলায় সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় বার্তা শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্স করে দলীয় নেতাদের দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর দলীয় নেতাদের বার্তা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা বাদেই রাজ্যপালের এই টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শনিবার পরপর দুটি বাংলাতে টুইট করে কার্যত রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা যাতে রাজনীতি মুক্ত হয় সেই বিষয়ে সওয়াল করেছেন রাজ্যপাল। এদিনের টুইটের মাধ্যমে আবারও আধিকারিকদের রাজনীতি মুক্ত হয়ে কাজ করার আবেদন রেখেছেন রাজ্যপাল।
SOMRAJ BANDOPADHYAY