নওশাদ আরও বলছেন, "প্রতিটি বিধানসভায় এমএলএ ল্যাডের টাকা খরচ করতে হবে। সেটা দেখার দায়িত্ব আমার। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করার চেষ্টা করব। আমি সর্বকনিষ্ঠ, বয়স্কদের পরামর্শ নিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ করব।"
সপ্তাহ দুয়েক আগে নিউজ১৮-কে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন নওশাদ। অন্যান্যদের নানা কমিটিতে জায়গা মিললেও, তখনও পর্যন্ত ৪১ টি কমিটির কোথাও ঠাঁই হয়নি নওশাদের। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কেন এই বৈষম্য! বিধানসভায় কোনও কমিটিতে জায়গা না পাওয়া শুধুই অধিকারের প্রশ্নে বৈষম্যই নয়, একই সঙ্গে নওশাদের আর্থিক ক্ষতি প্রশ্নও ছিল জড়িয়ে। এই মুহূর্তে বিধায়করা মাইনে হিসেবে পান ২১ হাজার ৮৭০ টাকা আজকের বাজারে যা অত্যন্ত সাধারণ বেতন বলেই বিবেচ্য। কিন্তু তাঁদের আয়ের মূল রাস্তাটা থাকে কমিটি মিটিং। বেশিরভাগ বিধায়ককে একাধিক কমিটির সদস্য হন। মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করলে তাঁরা ২০০০ টাকা ভাতা হিসেবে পান। এ ভাবে রোজগার হয় গড়ে ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ একজন বিধায়ক ৮১ হাজার ৮৭০ টাকা সোজা পথে আয় করতে পারেন। নওশাদের ক্ষেত্রে কোনও কমিটিতে জায়গা না হওয়াটা তাঁকে আর্থিক ভাবেও অন্য বিধায়কদের থেকে পিছিয়ে দেবে , এই আশঙ্কাই তুলে ধরেছিল নিউজ১৮। নওশাদ তখন বলেন, "কমিটিতে থাকাটা আমার হকের, প্রাপ্য। এখন সরকারপক্ষ বা বিরোধীপক্ষ কেউই আমার সঙ্গে তেমন ভাবে যোগাযোগ করেনি এই নিয়ে।" এই নিয়ে সেদিন কারও কাছে আবদারও করতে চান নি অভিমানী আইএসএফ নেতা। কেবল ক্ষোভটা প্রকাশ করেছিলেন আমাদের সামনে।
advertisement
এ দিন সেইকথা স্মরণ করেই নওশাদ বললেন, "হ্যাঁ আমি ক্ষোভের কথা তুলে ধরেছিলাম আপনাদের মাধ্যমেই। আমার কৃতজ্ঞতা আপনার মাধ্যমে বার্তাটা সঠিক জায়গায় পৌঁছেছে।"
প্রসঙ্গত মুকুল রায়কে গতকাল পিএসি মনোনীত হয়েছেন। নওশাদের মতে, "বিরোধী দল থেকেই এই পদে ব্যক্তি মনোনীত করা উচিত। পিএসির গুরুত্ব অনেক বেশি। আরও বিবেচনা করা উচিত ছিল। মানুষ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।"
প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে জয়ী হন নওশাদ। বিধানসভায় বাম- কং হীন মোর্চার এই প্রতিনিধিই মোর্চার সবেধন নীলমনি। স্বাভাবিক ভাবেই নওশাদের প্রাপ্তিতে মুখে হাসি মোর্চার।