নতুন বছর শুরুর মুখে, ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির এবারের সফর গোটাটাই সরকারি কর্মসূচিতে মোড়া। নমামী গঙ্গের মত কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে শুরু করে বন্দেভারত সুপারফাস্ট ট্রেনের সূচনা কিংবা মেট্রোর উদ্বোধন, সবটাই সরকারি। এরই মধ্যে আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসতে পারেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে সফরের খবর পেয়েই হোম ওয়ার্ক শুরু করে দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছিল, মোদির সরকারি কর্মসূচির ফাঁকে, হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে দলীয় সভা করবেন মোদি। সেইমতো, প্রস্তাবও পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ওই সভার জন্য ৪৫ থেকে ৫০ মিনিটের মত সময় বরাদ্দ করার কথাও ভেবেছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। কিন্তু, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে রাজ্য বিজেপিকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এবারের সফরে সরকারি কর্মসূচির বাইরে কোন দলীয় সভা করা সম্ভব হবে না প্রধানমন্ত্রীর। তবে, এবার না হলেও নতুন বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রবাস কর্মসূচিতে রাজ্যে এসে সভা করবেন মোদি।
advertisement
আরও পড়ুন: 'বদনাম করতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে,' কাকে নিশানা করলেন রাহুল
এদিকে, মোদির দলীয় সভা বাতিল হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। সভা বাতিলের খবর জানাজানি হওয়ার পরেই, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব তাই সাফাই দিতে শুরু করেন, মোদির সভার বিষয়টি প্রস্তাবের পর্যায়ে ছিল। চূড়ান্ত হয়নি। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলছেন, ''প্রধানমন্ত্রীর সভার বিষয়ে প্রাথমিক একটা ভাবনা চিন্তা হয়েছিল ঠিকই। তবে, চূড়ান্ত কিছু হয়নি ৷ প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে যেহেতু সরকারি একাধিক কর্মসূচি রয়ছে, তাই এবার দলীয় কর্মসূচি করা যাবে না। তাছাড়া, উদ্ভূত কোভিড পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সভা করা ঠিক হবে না৷ আমরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো ও সরকারি অনুষ্ঠানগুলিতে উপস্থিত থাকব। "
আরও পড়ুন: 'যে কোম্পানির কর্মচারী, সেই কোম্পানির মালিককে হারিয়েছি,' কুণালকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
তবে, সূত্রের খবর, সভা বাতিল হবার পর, প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফরের মধ্যেই রাজ্য বিজেপির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যাতে দেখা করেন, সে বিষয়ে চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সাক্ষাৎ পর্ব চূড়ান্ত করা গেলে কিছুটা হলেও হয়তো মুখরক্ষা হতে পারে রাজ্য বিজেপির।