TRENDING:

বঙ্গে পরিদর্শন শেষ, এবার 'আবাস দুর্নীতি' নিয়ে দিল্লিতে রিপোর্ট?

Last Updated:

শুক্রবার বিকেলের দিকে প্রতিনিধি দলটি পুর্ব মেদিনীপুর ছেড়ে রওনা দেন কলকাতার পথে। শুক্রবার সন্ধের বিমানেই তাঁদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#তমলুক, সুজিত ভৌমিক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গৃহপ্রাপকদের তালিকা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হওয়া ইস্তক সামনে এসেছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। কোথাও কাঠগড়ায় উঠেছে শাসকদল, কোথাও আবার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতানেত্রীর দিকে।
advertisement

পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গত বৃহস্পতিবারই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের পরিদর্শনকারী দল। প্রসঙ্গত, এর আগেও কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শনে এসেছিল রাজ্যে। সেবার বিষয় ছিল আবাস যোজনার অধীনে থাকা বাড়ির নাম বদল করা। তবে এবারের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা।

বৃহস্পতিবার মালদহ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে পরিদর্শন সারেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। জেলাশাসকের দফতরে বৈঠক করে পৌঁছন ভগবানপুর ব্লকে। সেখানে, আবেদনকারীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় তাঁদের। পরে, সেখান থেকে তাঁরা চলে যান দিঘায়।

advertisement

দিঘায় রাত্রিবাস করে শুক্রবার তিনজনের প্রতিনিধি দলটি পৌঁছয় তমলুক এলাকায়। পরিদর্শন করে নন্দকুমার ব্লকের কুমোরচক এবং বরগোদা গোদা গ্রাম পঞ্চায়েত।

আরও পড়ুন: ক্যামেরা দেখে অবশেষে মিলল হদিশ! বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ায় ধৃত ৩

এরপরে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আচমকাই ঢুকে পড়ে তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই ব্লকের পঞ্চায়েত অফিসে। সেই সময়, তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামণি অঞ্চল অফিসে আবাস যোজনার উপভোক্তাদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক বৈঠক চলছিল। সেই বৈঠকে গিয়ে উপভোক্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা।

advertisement

বৈঠকে প্রতিনিধি দলের তরফে জানানো হয়, আবাস যোজনায় বাড়ি করতে হলে, শৌচাগার তৈরি করতেই হবে। উপভোক্তারা তখন পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি বানানোর জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তার মধ্যে কীভাবে শৌচাগার-সহ কংক্রিটের বাড়ি বানানো সম্ভব? তবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা সাফ জানিয়ে দেন, ২৫ বর্গমিটারের মধ্যেই পাকা বাড়ি-সহ শৌচাগার করতে হবে আবাসের প্রত্যেক উপভোক্তাদের।

advertisement

শুক্রবার বিকেলের দিকে প্রতিনিধি দলটি পুর্ব মেদিনীপুর ছেড়ে রওনা দেন কলকাতার পথে। শুক্রবার সন্ধের বিমানেই তাঁদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা।

রাজ্যে এখন জরুরি ভিত্তিতে শুরু হয়েছে আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি তৈরির কাজ। আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে ১১ লক্ষ ২৩ হাজারেরও বেশি বাড়ি তৈরি কাজ শেষ করতে হবে রাজ্যকে। আবাস যোজনার নামের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে অভিযোগ উঠেছিল শুরু থেকেই।

advertisement

আরও পড়ুন: লক্ষ্য আসলে লোকসভা, ফেব্রুয়ারিতেই বড় পরিকল্পনা বিজেপির! বঙ্গে রথযাত্রা

অভিযোগের জেরে ১৭ লক্ষ আবেদন বাতিল করা হয়েছে বলে গত বৃহস্পতিবারই গঙ্গাসাগরে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়া। ইতিমধ্যেই আবাসের সংশোধিত তালিকা তৈরি হয়েছে। সেই তালিকা অনুমোদনও দিয়েছে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরা।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

মুখ্যসচিবও আবাস যোজনা নিয়ে বিস্তারিত বৈঠক করেছেন জেলাশাসকদের সঙ্গে। আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা মোতাবেক কীভাবে কাজ করতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত সুপারিশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে৷ এর মধ্যেই দ্বিতীয় বার আবাস নিয়ে রাজ্যে পরিদর্শনে এল কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
বঙ্গে পরিদর্শন শেষ, এবার 'আবাস দুর্নীতি' নিয়ে দিল্লিতে রিপোর্ট?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল